মাসিক শিবরাত্রি হল জ্যোতিষ মতে গোটা বছরের বাকি মাসগুলিতে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে পারন করা হয় মাসিক শিবরাত্রি। এদিন দেবতার পুজো করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়।
শিবরাত্রি আর মহাশিবরাত্রি দুটোই মহদেব বা ভোলানাথের পুজোর দিন। এই দুটি দিন বা তিথি তাঁকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই বিশেষ দিনে ভক্তরা শিব পুজো করেন। অনেকে মনে হতে পারে শিবরাত্রি আর মহাশিবরাত্রির মধ্যে পার্থক্য কী? ইশান সংহিতা অনুযায়ী সৃষ্টির শুরুতে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে রাতে ভগবান শিব শিবলিঙ্গের রূপে আবির্ভূত হন। এড়াও এই তিথিতেই ভগবান শিব নির্জনতা ছেড়ে গৃহস্থে রূপান্তরিত হন। এই ঘটনার দিনটিকেই মহাশিবরাত্রি বলে। এই দিন সূর্য ও চাঁদ কাছাকাছি আসে। এই দিন দেবতার বিশেষ পুজো হয়।
মাসিক শিবরাত্রি হল জ্যোতিষ মতে গোটা বছরের বাকি মাসগুলিতে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে পারন করা হয় মাসিক শিবরাত্রি। এদিন দেবতার পুজো করলে বিশেষ ফল পাওয়া যায়। ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার মাসিক শিবরাত্রির পড়বে। সেই দিন বিশের বিষেক পূজো করতে পারে। এটি হবে পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষ। শিবরাত্রির ব্রত পালত করতে পারেবনে ২১ ডিসেম্বর ১০টা ১৬ মিনিট থেকে শুরু করে ২২ তারিক ৭টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত। বিশেষ পুজোর সময় হল ২১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৪ মিনিট থেকে ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। এই সময় গণেশ পুজোও করতে পারে।
বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে নিয়ম-কানুন মেনে উপবাস করে শিবের আরাধনা করলে ভগবান শিবের ভক্তদের অনন্ত ফল পাওয়া যায়। মাসিক শিবরাত্রির দিনে ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ এবং রাতে জেগে শিবের ধ্যান করলে অশ্বমেধ যজ্ঞের মতোই ফল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে শিবরাত্রির উপবাসও উপকারী। এছাড়াও, শিব পূজা সমস্ত পাপ ধ্বংস করে বলে বিশ্বাস করা হয়। এতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাবও শেষ হয়।
মেয়েদের কাছে মাসিক শিবরাত্রি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ব্রত পালন করলে অবিবাহিত মেয়েরা শিবের আশীর্বাদে কাঙ্খিত স্বামী পেতে পারেন। বিবাহিতদের স্বামী ও পরিবারের মঙ্গল হয়।