২০২৩ সালে, অধীকামাস ১৮ই জুলাই থেকে শুরু হবে এবং ১৬ই আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত থাকবে। এই মাসটিকে ভগবান বিষ্ণুর ভক্তির মাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
নতুন বছর ২০২৩ শুরু হতে এখন আর সামান্য সময় বাকি। জ্যোতিষীদের মতে, ২০২৩ সালটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, আসন্ন বছরটি ১২ মাসের পরিবর্তে ১৩ মাসের হতে চলেছে। আসলে, ২০২৩ সালে, ভগবান শিবের প্রিয় শ্রাবণ মাসটি একটি নয়, দুই মাসের হবে। এটি অতিরিক্ত ভরের কারণে ঘটবে। একে মলমাসও বলা হয়। জ্যোতিষীরা বলছেন, অধীকামাসের কারণে ১৯ বছর পর শ্রাবণ মাস দুই মাস হতে চলেছে।
কবে থেকে আর কতদিন হবে আধিক মাস?
২০২৩ সালে, অধীকামাস ১৮ই জুলাই থেকে শুরু হবে এবং ১৬ই আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত থাকবে। এই মাসটিকে ভগবান বিষ্ণুর ভক্তির মাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেহেতু এই মাসটি শ্রাবণ মাসের সাথে মিলে যায়, তাই ভগবান শিবের উপাসকরাও তাঁর পূজা করার জন্য আরও বেশি সময় পাবেন।
মলমাস কি?
হিন্দু ক্যালেন্ডারে, প্রতি তিন বছরে একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয়, যাকে বলা হয় অধিকারমাস, মলমাস বা পুরুষোত্তম (মলমাস বা পুরুষোত্তম)। সৌর বছর ৩৬৫ দিন এবং ৬ ঘন্টা। এবং চান্দ্র বছর ৩৫৪ দিনের বলে মনে করা হয়। দুই বছরের মধ্যে প্রায় ১১ দিনের ব্যবধান। প্রতি বছর ঘটে যাওয়া এই ১১টি দিন যদি যোগ করা হয়, তাহলে তারা এক মাসের সমান। এই ব্যবধান মেটানোর জন্য প্রতি তিন বছর অন্তর একটি চন্দ্রমাস সৃষ্টি হয়, যাকে বলা হয় অধীকামাস।
এই ভুলগুলো করবেন না
বিবাহ
অধিক মাসে বিবাহ নিষিদ্ধ। এই সময়ে বিয়ে করলে মানসিক সুখও পাবেন না, শারীরিক সুখও পাবেন না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হবে এবং ঘরে শান্তি ও সুখ থাকবে না।
নতুন দোকান বা চাকরি
অধিকারে নতুন ব্যবসা বা নতুন চাকরি শুরু করবেন না। মালমাসে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করা আর্থিক অসুবিধার জন্ম দেয়। তাই নতুন কাজ, নতুন কাজ বা বড় বিনিয়োগ এড়িয়ে চলুন।
ভবন নির্মান-
এতে নতুন বাড়ি নির্মাণ ও সম্পত্তি ক্রয় নিষিদ্ধ। এই সময়ে নির্মিত বাড়ির সুখ-শান্তি সর্বদা বিঘ্নিত হয়। আপনি যদি কোনও বাড়ি কিনতে চান বা কোনও সম্পত্তি কিনতে চান তবে অধীকামাসের আগমনের আগে কিনে নিন।
শুভ কাজ-
অন্যান্য শুভ কাজ যেমন কর্ণবেধ এবং মুন্ডনও নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়, কারণ এই সময়ে করা কাজের কারণে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।