হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়। চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে একটি রাখী পাঠিয়েছিলেন। এর পর থেকে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
দেশে সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসব পালন করে। এই দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে রাখী নামে একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দেয়। রাখি উৎসব ভাই ও বোনের মধ্যে প্রীতি বন্ধনের উৎসব। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়। চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করে একটি রাখী পাঠিয়েছিলেন। এর পর থেকে এই উৎসবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইদের রঙিন রাখি বাঁধে। সুন্দর রাখি কেনার ক্ষেত্রে বোনেরা প্রায়ই কিছু ছোটখাটো বিষয়ের দিকে নজর দেন না। রাখি উৎসবের দিনে বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রাখি বেঁধে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে। বিনিময়ে, ভাইও তার বোনকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে তাকে সর্বদা রক্ষা করবে। রাখি বাঁধার সময় এর রঙের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
এই ধরনের রাখি ভুলেও বাঁধবেন না -
একটি পবিত্র রাখি সব সময় ভাইয়ের সঙ্গে বাঁধা থাকে, তাই ভাইকে কালো রঙের রাখি একেবারেই বাঁধবেন না। রাখির দিন, বোনেরা তাদের ভাইয়ের সুখ এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে। যে ধরনের রাখীতে কালো সুতো ব্যবহার করা হয়েছে তা এড়িয়ে চলুন। কালো রং অশুভ এবং নেতিবাচক বলে মনে করা হয়। ভাইয়ের কব্জিতে এমন রাখি বাঁধবেন না যাতে দেব-দেবীর ছবি থাকে। কব্জিতে দেবতার ছবি দিয়ে রাখি বাঁধা দেবতার অপমান বলে মনে করা হয়।
রাখি বাঁধার আগে ভালো করে পরীক্ষা করে নিন যে আপনার রাখি কোনও ভাবেই ছিঁড়ে যাচ্ছে না তো! আপনি যদি ভুল করেও এমন রাখি কিনে থাকেন তবে তা আপনার ভাইয়ের কব্জিতে বেঁধে রাখতে পারবেন না। কারণ ছিঁড়ে যাওয়া রাখি অশুভ বলে মনে করা হয়। রাখি কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখুন। আপনি আপনার ভাইয়ের কব্জিতে যে রাখি বাঁধছেন তাতে কোনও অশুভ চিহ্ন থাকা উচিত নয়। এমন রাখি কিনবেন না যাতে কোনও অশুভ চিহ্ন থাকে।