প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী কোনও যুবকের যদি বিয়ে না হয় , সে নিজের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খুঁজছে অন্যদিকে তার পরিবারও তার জন্য উদ্বিগ্ন- তাহলে তুলসীদাসের রামচরিতমাসনেই রয়েছে তার সমাধান।
সোমবার ভবগান শিব আর ভগবান শ্রীরামের দিন। এই দিন অনেকেই শিবের পুজো করেন। মনে করা হয় এতে ভগবান শিব তুষ্ট হন। অন্যদিকে এই দিনে রামচরিতমাসন হিসেবে ভগবান শ্রীরামের পুজো করলেও কৃপা পাওয়া যায়। আর দুই দেবতার কৃপা পেতে হলে সোমবার শ্রীচরিতমানসের একটি বিশেষ প্রতিকারের কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এই দিনে শ্রীচরিতমানস সম্পর্কিত অনেক ব্যবস্থা রয়েছে, যার দ্বারা যে কোনও কাজও করা যায়।
প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী কোনও যুবকের যদি বিয়ে না হয় , সে নিজের জন্য উপযুক্ত পাত্রী খুঁজছে অন্যদিকে তার পরিবারও তার জন্য উদ্বিগ্ন- তাহলে তুলসীদাসের রামচরিতমাসনেই রয়েছে তার সমাধান। কারণ সোমবার দুই দেবতার কৃপা থাকে। আর সেই কারণ কোনও ভুলত্রুতি হলেও দেবতারা ক্রদ্ধ হন না। তারা আশির্বাদ দিয়ে থাকেন। সোমবারের প্রতিকারে ভুল থাকলেও পাপ হয় না। শ্রী রামচরিতমানসের এই কৌশলটি মাঙ্গলিক দোষ, কালসর্পদোষ এবং কুণ্ডলীর অন্যান্য ত্রুটিগুলি দূর করে।
জানুন কীভাবে করবেন প্রতিকারঃ
একজন ব্রাহ্মনের কাছ থেকে শুভ সময় নিন। সেই শুভসময় বাড়ির উপাসনাস্থলে বা মন্দিরে যান। সেখানে গণেশ, ভগবান শিব-পার্বতী আর হনুমানের পুজো করুন। ভগবানের সামনে দেশী ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। তারপর নিজের সামর্থ অনুযায়ী ফুল মালা আর প্রসাদ অর্পন করুন। তারপর একটি পরিশষ্কার আসনে বসে রামচরিতমানসকে প্রণাম করুন। বইয়ে যেখানে শিব-পার্বতীর বিয়ের পর্ব রয়েছে সেটি পড়ুন। প্রচলিত বিশ্বাস প্রতিদিন এই প্রতিকারটি টানা ৯০ দিন করলে নিজের পছন্দমত জীবনসঙ্গী পাওয়া যায়। পৌরাণিক বিশ্বাস প্রতিকারে ভুল থাকলেও সমস্যা হয় না।
খারাপ সময়ের প্রতিকার
অনেক চেষ্টার পরেও যদি আপনার সমস্ত কাজ নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে শ্রীরামচরিতমানসে এরও সমাধান আছে। এজন্য সুন্দর কান্ড পাঠ করতে হবে। একটি শুভ সময়ে, সকালে ভগবান রাম-সীতা-লক্ষ্মণ এবং শিব পরিবারের পূজা করুন। এর পরে হনুমানজির পূজা করুন এবং তাঁর আশীর্বাদ নিন। তাদের উদ্দেশ্যে প্রদীপ, মালা, ফুল ইত্যাদি নিবেদন করুন। তারপর সেখানে বসে পরবর্তী ৯০ দিন প্রতিদিন সুন্দর কান্ড পাঠ করুন। শেষে হনুমানজীর আরতি করুন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এইভাবে ব্যক্তির সবচেয়ে বড় সমস্যা দূর হয়ে যায়।