যে ব্যক্তির রাশিতে ‘সিংহাসন রাজযোগ’ গঠিত হয়, তাঁর জীবনে কখনও অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা হয় না এবং সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে।
রাজযোগের নাম শুনলেই মনে হতে পারে জাতকদের জীবনটা হবে একেবারে রাজার মতো। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রে অনেক ধরনের রাজযোগ বর্ণিত হয়েছে। প্রতিটি রাজযোগের ভিন্ন ধরনের প্রভাব রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাজযোগের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল ‘সিংহাসন রাজযোগ’। যে ব্যক্তির রাশিতে ‘সিংহাসন রাজযোগ’ গঠিত হয়, তাঁর জীবনে কখনও অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা হয় না এবং সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি থাকে।
সিংহাসন রাজযোগ কিভাবে গঠিত হয়?
যদি কোনও ব্যক্তির জন্ম-কুণ্ডলীর দশম ঘরের অধিপতি মেষ রাশি থেকে দশম রাশি মকরের অধিপতি শনির মতো কুণ্ডলীর প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম বা দশম ঘরে বসে থাকেন তবে সিংহ রাজযোগ তৈরি হয়। এ ছাড়া দশম ঘরের অধিপতি দ্বিতীয় বা পঞ্চম অথবা নবম ঘরে থাকলেও সিংহাসন রাজযোগ তৈরি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে সিংহাসন রাজযোগকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে, যে ব্যক্তির রাশিতে সিংহাসন রাজযোগ গঠিত হয়, তিনি রাজার মতো জীবনযাপন করেন।
এই যোগ তৈরি হলে জাতকরা কঠোর পরিশ্রমের ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে প্রচুর সম্মান অর্জন করেন।
এছাড়াও, যাঁর রাশিতে সিংহাসন রাজযোগ গঠিত হয়, তিনি অত্যন্ত দায়িত্বশীল হয়ে থাকেন এবং কঠোর পরিশ্রম করতে ভয় পান না।
সিংহাসন রাজযোগের প্রভাবে একজন ব্যক্তি কেবলমাত্র তাঁর নিজের ভাগ্যই উন্নত করেন না, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্যও তিনি সম্মান নিয়ে আসেন।
সিংহাসন রাজযোগের প্রভাবে একজন ব্যক্তিকে কখনও আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয় না। আর্থিকভাবে তিনি বেশ সচ্ছল থাকেন।
যেসমস্ত জাতকদের রাশিতে সিংহাসন রাজযোগ গঠিত হয়, তাঁরা নিজেদের জীবনে খুব বেশি পরিবর্তন আসা পছন্দ করেন না। তবে, এই ধরনের মানুষরা খুব ভালো উপদেষ্টা এবং বক্তা হয়ে থাকেন।
এই রাজযোগের প্রভাবে একজন ব্যক্তি পড়াশোনায় খুব ভালো হন। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁদের অনেক উন্নতি হয়। বুদ্ধিমত্তার জোরে কাজ করতেও এরা দক্ষ হন।