গণেশের পুজো করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সুখ, সমৃদ্ধি পাওয়া যায়। জ্ঞাণ লাভের জন্য গণেশের পুজো করেন অনেকে। জীবনের চলার পথে বাধা দূর করতেও গণেশের পুজো করা হয়। গণের পুজোর সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বুধ গ্রহেরও পুজো করেন।
সনাতন হিন্দু ধর্মে প্রথম পুজিত দেবতা শ্রীগণেশষ দেবী দুর্গা আর মহাদেবের প্রথম সন্তান। সপ্তাহের সাতটি দিনের মধ্যে বুধবার গণেশের জন্য বরাদ্দ। বাধা কাটাতে এই দিনে গণেশের বিশেষ পুজো করা হয়। গণেশজির পুজো যেভাবেই হোক না কেন তাতে একজন মানুষের জীবনের সমস্ত বাধা অতিক্রম হয়।
হিন্দু ধর্মের প্রতিটি দিনও কোনও না কোনও দেবতার পুজো করা হয়। প্রতিটি দিনও কোনও না কোনও দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এই দিন গণেশের পুজো করতে তিনি তুষ্ট হন, প্রশন্ন হয়ে সকলের মনের ইচ্ছে পুরণ করেন। অনেকেই মনে করেন ভগবান গণেশের প্রিয় বার হল বুধ। প্রিয় গ্রহণ হল বুধ। গণেশ কিন্তু জ্ঞানের আধারও। সেই কারণেই বুধবারেই তাঁর বিশেষ পুজো হয়।
গণেশের পুজো করলে জীবনের সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সুখ, সমৃদ্ধি পাওয়া যায়। জ্ঞাণ লাভের জন্য গণেশের পুজো করেন অনেকে। জীবনের চলার পথে বাধা দূর করতেও গণেশের পুজো করা হয়। গণের পুজোর সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই বুধ গ্রহেরও পুজো করেন।
গণেশ পুজোর নিয়ম
গণেশকে শুধু দুর্বঘাস অর্পণ করে পুজো করতে পারেন। পুরাণ মনে গণেষ দুর্বা ঘাসেই তুষ্ট হন- এটি তাঁর অত্যান্ত প্রিয়। বুধবার যদি গণেশের বিশেষ পুজো করেন তাহলে অবশ্যই গুড় আর ধনে নিবেদন করুন। এতে তাঁর বিশেষ কৃপা পাওয়া যায়। এদিন কোনও বিশেষ কাজে বাইরে তাহলে অবশ্যই বাড়ি থেকে বার হওয়ার আগে কিছুটা মৌরি মুখে দিন। এতে দেবতা তুষ্ট হন। আশির্বাদে সব বাধা কেটে যাবে। বুধবার ভুলেও সবুজ রঙের কোনও পোশাক পরবেন না। তবে সঙ্গে সবুজ রুমাল রাখতে পারেন।
মনে করা হয় ভগবান গণেশের গণেশের পুজো করলে ঋদ্ধি-সিদ্ধি ও লাভ-ক্ষেমের পুজোর বিশেষ জপের মাধ্যমে শুভ বলে মনে করা হয়। তবে বুধবার ছাড়া অন্য দিনও সকাল সন্ধ্যা গণের জপ স্তব করতে পারে।