Capricorn Horoscope: পৌষ মাস মকর রাশির উপর কেমন প্রভাব পড়বে, দেখে নিন

বাংলা বছরের নবম মাস পৌষ। পাশাপাশি রাশিচক্রের নবম রাশি মকর। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ শনি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা একটু চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক বছরের নবম মাস মকর রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-

পৌষ বাংলা বছরের নবম মাস এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের দশম মাস। নামটি এসেছে পুষ্যা নক্ষত্রে সূর্যের অবস্থান থেকে। এই মাসের শেষের দিন বাঙালিরা পৌষ সংক্রান্তির মেলা উৎযাপন করে। এ সময় বাড়ি বাড়িতে ও পাশাপাশি নানা স্থানে পিঠা উৎসব আয়োজিত হয়। এদের অধ্যাবসায়ের দিকে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে নিজের ভাগ্য গড়ে তুলতে হয়। 
রাশিচক্রের নবম রাশি মকর। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ শনি। জাতকের আকষ্মিক অর্থ প্রাপ্তি হতে পারে। এরা মিতব্যয়ী ও সঞ্চয়ী প্রকৃতির হয়ে থাকে। অকাল বার্ধক্যের একটি ছাপ প্রায়ই এদের চেহারায় দেখা যায়। এরা সাধারণত অল্পে সন্তুষ্ট হয়। এরা কখনও শ্রমশীল আবার কখনও শ্রম বিমুখ হয়। শনি গ্রহের জাতকদের নিঃসঙ্গ এবং একা থাকতে ভালবাসে। তবে শেষ জীবনে হঠাৎ নানা রোগ দেখা দিতে পারে। সন্দেহ বাতিকের জন্য বিবাহ জীবন খুব একটা সুখের হয় না। বন্ধুরা সব সময় এদের এড়িয়ে চলতে চায়। অবসাদ, বিষাদ, বৈরাগ্য, উদাসিনতা ভাব এদের চরিত্রের বিশেষ লক্ষণ। তবে দেখে নেওয়া যাক পৌষ মাসে কেমন কাটবে মকর রাশির-

পৌষ মাসে মকর রাশি প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে সাফল্য লাভের যোগও রয়েছে। সন্তানের জন্য চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে। বন্ধুরা আপনার সরলতার সুযোগ নিতে পারে। অযথা বিবাদের জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে। বিলাসিতার জন্য খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে। দাম্পত্য কলহ বৃদ্ধির যোগ রয়েছে। এই মাসে কর্মক্ষেত্রে বা সংসারে দ্বায়িত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সংসারে অতিরিক্ত খরচের জন্য অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভুগতে হতে পারে। বেকারদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ আসতে পারে। বাড়িতে অতিথি আসার যোগ রয়েছে। ব্যবসায় লাভ তেমন একটা বৃদ্ধি পাবে না। 
জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়। আবার জাতকের জন্ম সময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়।