রহস্যে ভরা এই মন্দির, কখনও নেভে না শিখা - সোনার ছাতা নিবেদন করেছিলেন সম্রাট আকবর

ভারতের ৫১ টি শক্তিপীঠের (51 Shaktipeeths) অন্যতম হল হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) জ্বালা দেবী মন্দির (Jwala Devi Temple)। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু বিশেষ রহস্য, যার ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞান দিতে পারেনি। 

ভারতের ৫১ টি শক্তিপীঠের (51 Shaktipeeths) অন্যতম হল হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিখ্যাত জ্বালা দেবী মন্দির (Jwala Devi Temple)। এই রহস্যময় মন্দিরটি হিমাচল প্রদেশের কাংড়া (Kangra) জেলার কালীধর পাহাড়ে (Kalidhar Hill) অবস্থিত। এটি জাতা বালি মায়ের মন্দির হিসেবেও বিখ্যাত। পুরাণ অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu) প্রলয় থামাতে সুদর্শন চক্র পাঠিয়েছিলে, যাতে দেবী সতীর দেহ ৫১টি খণ্ডে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়েছিল। জ্বালা দেবী মন্দিরে সতীর জিহ্বা পড়েছিল বলে জানা যায়। কথিত আছে বনবাসের সময় পান্ডবরা (Pandavas) এই পবিত্র স্থানটি আবিষ্কার করেছিলেন। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু বিশেষ রহস্য, যার ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞান দিতে পারেনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে - 


ভারতের ৫১ টি শক্তিপীঠের অন্যতম হল হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিখ্যাত জ্বালা দেবী মন্দির (Jwala Devi Temple)। এই রহস্যময় মন্দিরটি হিমাচল প্রদেশের কাংড়া (Kangra) জেলার কালীধর পাহাড়ে (Kalidhar Hill) অবস্থিত। এটি জাতা বালি মায়ের মন্দির হিসেবেও বিখ্যাত। পুরাণ অনুযায়ী ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu) প্রলয় থামাতে সুদর্শন চক্র পাঠিয়েছিলে, যাতে দেবী সতীর দেহ ৫১টি খণ্ডে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়েছিল। জ্বালা দেবী মন্দিরে সতীর জিহ্বা পড়েছিল বলে জানা যায়। কথিত আছে বনবাসের সময় পান্ডবরা (Pandavas) এই পবিত্র স্থানটি আবিষ্কার করেছিলেন। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কিছু বিশেষ রহস্য, যার ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞান দিতে পারেনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই বিষয়ে - 

Latest Videos

বিস্ময়কর  ৯ শিখা

হিমাচল প্রদেশের এই শক্তিপীঠে বছরের পর বছর ধরে ৯ টি প্রাকৃতিক শিখা জ্বলছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন মাটি থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস বের হয়েই এই প্রাকৃতিক শিখাগুলি তৈরি হয়েছে। তবে, বহু বছর ধরে গবেষণা করে, ৯ কিলোমিটার গভীরে খনন করেও বিজ্ঞানীরা এর উৎস খুঁজে পাননি। এই ৯ টি প্রাকৃতিক শিখাকে কেন্দ্র করেই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। এই ৯ শিখা পরিচিত দেবী চণ্ডী, দেবী হিংলাজ, দেবী অন্নপূর্ণা, দেবী মহালক্ষ্মী, দেবী বিন্ধবাসিনী, দেবী সরস্বতী, দেবী অম্বিকা, অঞ্জি দেবী এবং দেবী মহাকালী নামে।

মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১৮৩৫ সালে 

জ্বালা দেবী মন্দির মন্দিরের নির্মাণকাজ প্রথম শুরু করেছিলেন রাজা ভূমি চাঁদ। পরবর্তীকালে সেই নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যান মহারাজা রঞ্জিত সিং এবং রাজা সংসার চাঁদ। ১৮৩৫ সালে মন্দিরের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছিল।

শিখা নিভানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন সম্রাট আকবর 

শোনা যায়, মুঘল সম্রাট আকবর (Mughal emperor Akbar) এই মন্দিরের ৯ অনির্বাণ শিখা নিভানোর বহু প্রচেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাখো চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়। আসলে এই শিখা নিয়ে আকবরের মনে অনেক সংশয় ছিল। তিনি এই আগুন নিভানোর জন্য ওই স্থানে জল ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাতে কাজ না হওয়ায়, একটি খালকে ওই স্থানের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার সমস্ত প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছিল। 

সোনার ছাতা নেননি দেবী

কথিত আছে, দেবী মন্দিরের এই অলৌকিক মহীমা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। এরপর তিনি দেবীর উদ্দেশ্যে প্রণাম করে সেখানে একটি সোনার ছাতা অর্পণ করেছিলেন। তবে, শোনা যায়, দেবী তাঁর সেই নৈবেদ্য গ্রহণ করেননি। সোনার ছাতাটি রাখার সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ে গিয়েছিল এবং সেটি একটি সাধারণ ধাতুর ছাতায় রূপান্তরিত হয়ে যায়। সেই ছাতাটির তারপর কী হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না।

Share this article
click me!

Latest Videos

'৩০ সেকেন্ডে যাদবপুর দখল করছিল মদন, এখন নিজের এলাকা দখল হয়ে যাচ্ছে', চরম কটাক্ষ অর্জুন সিংয়ের
IND vs NZ Final : দুবাইয়ের ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ড : শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে দুই দল | CT 2025 Final
'তৃণমূলের উত্থান Kolkata থেকে, পচনও শুরু কলকাতা থেকেই' অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ | Adhir Chowdhury | TMC
যাদবপুরে নৈরাজ্য! ব্রাত্যদের গ্রেফতারির দাবী জানিয়ে শুভেন্দুদের ধিক্কার মিছিল | Suvendu Adhikari
'ম্যায় হু না' দিল্লির মহিলাদের আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা | Rekha Gupta Delhi CM