শীতলা অষ্টমীতে দেবীকেও নিবেদন করা হয় বাসি খাবার, জেনে নিন কারন

শীতলা অষ্টমীর দিন বাসি খাবার খাওয়া হয় এবং শীতলা মাতাকেও নিবেদন করা হয় বাসি খাবার। তাই জন্যই একে বাসোদাও বলা হয়ে থাকে। দেবী ঠান্ডা জিনিস পছন্দ করে বলেই তো শীতলা পুজোর দুদিন অর্থাৎ সপ্তমী ও অষ্টমীতে ঠাকুরের কাছে ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়ে থাকে। 
মা শীতলা যেহেতু ঠান্ডা খাবার পছন্দ করেন সেই জন্য পুজোর দিন ঠাকুরের কাছে ডাব, দই-য়ের মত ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়। 

হিন্দু ধর্মে (Hindi Religion) বারো মাসে তেরো পার্বণ। সকল পার্বনেরই একটা আলাদা আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। ধর্মীয় রীতি রেওয়াজ মেনেই হিন্দুধর্মে পালিত হয় সকল পার্বন। চলতি মাসেই অর্থাৎ মার্চে শীতলা অষ্টমী (Sheetala Ashtami)। এটি অবশ্য বাসোদা অষ্টমী (Basoda Ashtami) নামেও পরিচিত। হোলির (Holi) অষ্টম দিনে এই শীতলা অষ্টমী পালন করা হয়। এই দেবীর নামের মধ্যেই রয়েছে শীতল ভাবের ছোঁয়া। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শীতলা অষ্টমীর দিন শীতলা মাতাকে মিষ্টি চাল নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয়। এই মিষ্টি চাল গুড় বা আখের রস দিয়ে তৈরি করা হয়। যারা ধর্মীয় ভাবাবেগে বিশ্বাসী তাঁরা মনে করেন, শীতলা মাতার পুজো (Sheetala puja) করলে গৃহস্থে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে এবং বাড়ির সদস্যরা রোগমুক্ত থাকে। এই বছর, চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি ২৫ মার্চ শুক্রবার শীতলা মায়ের পুজো। ঠিক দুপুর ১২ টা বেজে ৯ মিনিটে শুরু হবে শীতলা পুজো আর শেষ হবে রাত ১০ টা বেজে ৪ মিনিটে। 

শীতলা অষ্টমীর দিন বাসি খাবার খাওয়া হয় এবং শীতলা মাতাকেও নিবেদন করা হয় বাসি খাবার। তাই জন্যই একে বাসোদাও বলা হয়ে থাকে। জেনে রাখা দরকার যে, যে স্থানে হোলির পূজা করা হয় সেই একই স্থানে বসোদা পূজা করা হয়। যাঁরা অষ্টমীর পূজা করেন, তাঁরা সপ্তমীর রাতে খাবার তৈরি করেন এবং শীতলা মাতাকে বাসি খাবার প্রসাদ হিসেবে নিবেদন করেন। এ বছর শীতলা অষ্টমী পূজার শুভ সময় সকাল ৬ টা বেজে ৮ মিনিট থেকে সকাল ৬টা বেজে ৪১ মিনিট পর্যন্ত। শীতলা মায়ের নামের মধ্যেই বোঝা যায় এই দেবী ঠান্ডা জিনিস পছন্দ করেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই দিনে উপবাস ও উপাসনা করলে মানুষ গুটি বসন্ত, হামের মতো রোগে আক্রান্ত হয় না। শীতলা দেবী ঠান্ডা জিনিস পছন্দ করে বলেই তো শীতলা পুজোর দুদিন অর্থাৎ সপ্তমী ও অষ্টমীতে ঠাকুরের কাছে ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়ে থাকে। 

Latest Videos

মনে করা হয়, এই দিন অর্থাৎ চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দেবী শীতলার পুজো করলে পরিবারে সুখ- সমৃদ্ধি আসার পাশাপাশি সকলে সুস্থও থাকেন। যেমন করে মা দুর্গা অসুর বধ করেছিলেন তেমনই  শীতল অষ্টমীতে মানুষের ভিতরের দানবকে ধ্বংস করেন দেবী শীতলা।  মা শীতলার পুজোর জন্য বেশ কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। এক নজরে দেখে নিন শীতলা দেবীর পুজোর ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম পালন করা উচিত। 

১. শীতলা মায়র পুজোর দিন আগুণ জ্বালাতে নেই। আগের দিন খাবার তৈরি করে রেখে পরের দিন সেই খাবার দিয়েই পরের দিন দেবীর আরাধনা করা হয়। 

২. দেবীকে বাসি খাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সকলকেও সেইঅ বাসি খাবারই খেতে হয়। 

৩. মা শীতলা যেহেতু ঠান্ডা খাবার পছন্দ করেন সেই জন্য পুজোর দিন ঠাকুরের কাছে ডাব, দই-য়ের মত ঠান্ডা খাবার নিবেদন করা হয়। 

৪. মনে করা হয়, যদি কোনও ব্যক্তি সম্পূর্ণ নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে শীতলা মায়ের পুজো করেন তাহলে তিনি সকল প্রকার সমস্যা ও ব্যাধি থেকে মুক্তি পবেন। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
ভাটপাড়ায় প্রোমোটারের 'দাদাগিরি', আতঙ্কে জমির মালিক, কি বলছে পুরসভা! দেখুন | Bhatpara News
'আমি মারা গেলে আমার যেন স্ট্যাচু না হয়' দলের উদ্দেশ্যে বার্তা মমতার
‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report