হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী কার্তিক মাসের ১৫ দিনের মাথায় পরে দিপাবলী উৎসব আর গুরুনানক জয়ন্তী পরে সাধারণত কার্তিক পূর্ণিমার ঠিক ১৫ দিনের মাথায়।
আজ, শুক্রবার গুরুনানক জয়ন্তী (Guru Nanak Jayanti)। হিন্দু শাস্ত্র (Hindu Shastra) অনুযায়ী কার্তিক মাসের ১৫ দিনের মাথায় পরে দিপাবলী (Diwali) উৎসব আর গুরুনানক জয়ন্তী (Guru Nanak Jayanti) পরে সাধারণত কার্তিক পূর্ণিমার ঠিক ১৫ দিনের মাথায়। শিখ গোষ্ঠীর এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটিতে গুরুনানকের জন্মদিন (Gurunanak Birthday) হিসেবে পালন করা হয়। তিনি ছিল ১০ শিখ (Shikh) গুরুর মধ্যে প্রথম, যিনি শিখ ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন। এই বিশেষ দিনে তাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে থাকে শিখ জাতি। তাঁদের বিশ্বাস গুরুনানক জি গোটা বিশ্বকে আলোকিত করে রেখেছে, আর তাই তাঁরই আশীর্বাদ পেতে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থণার।
চলতি বছর গুরুনানক জয়ন্তী (Guru Nanak Jayanti) পড়েছে ১৯ নভেম্বর ২০২১। এবছর ৫৫২ তম বর্ষে পা দিল গুরু নানক জয়ন্তী। এই বিশেষ দিনে ইশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্য শিকদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিখ জাতির সৃষ্টিকর্তা এই গুরু নানক দেবের জন্ম হয় ১৪৬৯ খ্রীষ্টব্দে। লাহোরের (Lahor) কাছে নানাখা সাহিব-এ গুরুজির জন্ম হয়। গুরুনানক (Guru nanak) বিশ্বাস করতেন, একজন সাধারণ মানুষও ইশ্বরের প্রার্থণা করতে পারেন। ইশ্বরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম। তিনি চিরাচরিত প্রথা রীতিনীতির বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই এই বিশেষ দিনে তিনি যা শিখিয়ে গিয়েছিলেন, তা আরও একবার মনে করে নেওয়ার পালা। শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থও এদিন পাঠ করা হয়ে থাকে। গুরু নানকজি বিশ্বাস করতে এক ইশ্বরে। তাঁর কথায়, সকল শক্তি এক ইশ্বরের মধ্যেই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।
এই উৎসবের ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে এক টানা গুরুগ্রন্থ পড়া হয়। কোনও বিরোতি ছাড়াই এই বিশেষ দিনে ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়ে থাকে। এর ঠিক আগের দিন আয়োজন করা হয়ে থাকে নগর কীর্তণের। গুরু নানক জয়ন্তীর দিন সকাল হয় প্রার্থণা দিয়েই। এরপর দিনভর উৎসব চলতে থাকে, যার মধ্যে লঙ্গর অন্যতম। এদিন সব গুরুদোয়ারাতে লঙ্গরের ব্যবস্থা করা হয়।