জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, প্রতিটি দিনের রয়েছে ভিন্ন তাৎপর্য। একই সঙ্গে প্রতিটি বস্তুর মধ্যে রয়েছে অন্তর্নিহিত শক্তি। এই শক্তি ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুই ধরনেরই হতে পারে। জ্যৈষ্ঠ বাংলা সনের দ্বিতীয় মাস এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শকাব্দের তৃতীয় মাস। জেষ্ঠা নক্ষত্র থেকে এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে। শাস্ত্র মতে এই মাস অত্যম্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই জ্যোতিষীদের মতে, জ্যৈষ্ঠ মাসে কখনই অপরের কোনও জিনিস ব্যবহার করা উচিৎ নয়, তাতে হতে পারে মহা বিপদ।
আরও পড়ুন- জ্যেষ্ঠ মাসের একাদশীতে এই নিয়ম পালন করলে, ফল পাবেন হাতে নাতে
জ্যৈষ্ঠ মাসে কখনই কারও থেকে কলম বা পেন ধার নেবেন না, যদিও বা প্রয়োজন হয় তা তৎক্ষনাত ফিরিয়ে দিন। এই মাসে অন্যের জামা-কাপড়ও ব্যবহার করতে নেই, নিজের যা আছে তাই পড়ুন। এই দিনে অপরের জামা পড়লে আপনার মধ্যে নেতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হবে। তার সরাসরি প্রভাব পড়বে আপনার জীবনে। জ্যৈষ্ঠ মাসে কখনোই অপরের ঘড়ি পছন্দ হলেও ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করুন নিজের ঘড়িটাই। এই দিনে অন্যের ঘড়ি ব্যাবহার করা মানে খারাপ সময়কে আহ্বান জানানো। অপরের ব্যবহৃত কোনও ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে সেই ব্যগ যদি একেবারে নতুন হয়ে থাকে তবে সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। এই সময়ে অপরের ব্যবহৃত ব্যাগ নেওয়া মানে নিজের দুর্ভাগ্যকে ডেকে নেওয়া। এতে আর্থিক উন্নতির যোগ ব্যপকভাবে বাধা প্রাপ্ত হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসে কখনওই অন্যের থেকে টাকা ধার নেবেন না। এই দিনে টাকা ধার নেওয়া মানে নিজের দুর্ভাগ্যকে ডেকে নেওয়া। এতে আর্থিক উন্নতির যোগ ব্যপকভাবে বাধা প্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন- জৈষ্ঠ্য মাস কেমন প্রভাব ফেলবে মিথুন রাশির উপর, দেখে নিন
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। জীবনের এই সমস্যাগুলোকে সহজেই কাটিয়ে ওঠার জন্য জ্যোতিষীরা নানান রত্ন ধারণের পরামর্শ দেন। তবে রত্ন ধারণে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গেলেও অনেকের পক্ষেই সব সময় রত্ন ধারণ সম্ভব হয় না। একই সঙ্গে গ্রহ প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমান অর্থের, যা সকলের পক্ষে ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই সমস্ত কিছু ছাড়া কিছু নিয়ম আছে যাতে সহজেই আপনি সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। জ্যৈষ্ঠ মাসে এই নিয়মগুলি মেনে বাধা কাটিয়ে উঠুন।