পঞ্চাঙ্গ অনুসারে শুভ ও অশুভ সময় নির্ধারিত হয়। পঞ্চাঙ্গ-তে বর্ণিত আছে শুভ সময় (Time), শুভ মুহূর্ত ও শুভ দিনের (Day) কথা। গ্রহণ-নক্ষত্রের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় এই সকল মুহূর্ত। বছরের শেষ দিনের কেমন কাটবে তা জেনে নিন। আজকের শুভ সময়, অভিজিৎ কাল, অমৃত কাল কখন তা জেনে নিন। জেনে নিন, কোন সময় শুরু করবেন কোনও কাজ।
হিন্দু শাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘পঞ্চাঙ্গ’। ভারতীয় পঞ্জিকার মোট পাঁচটি অঙ্গ। তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ ও করণ। এই পাঁচটি অঙ্গের সমাহারকে বলা হয় ‘পঞ্চাঙ্গ’ (Panchang)। অথবা বলা হয় পঞ্জিকা। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে শুভ ও অশুভ সময় নির্ধারিত হয়। পঞ্চাঙ্গ-তে বর্ণিত আছে শুভ সময় (Time), শুভ মুহূর্ত ও শুভ দিনের (Day) কথা। গ্রহণ-নক্ষত্রের অবস্থানের ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয় এই সকল মুহূর্ত। বছরের শেষ দিনের কেমন কাটবে তা জেনে নিন পঞ্চাঙ্গ মতে। আজকের শুভ সময়, অভিজিৎ কাল, অমৃত কাল কখন তা জেনে নিন। জেনে নিন, কোন সময় শুরু করবেন কোনও কাজ।
আজ, ৩১ ডিসেম্বর বিক্রম সম্বত ২০৭৯, আনন্দ। শক সম্বত ১৯৪৩, প্লব। পূর্ণিমান্ত হল পৌষ। আজ আমন্ত অগ্রহায়ণ। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষ দ্বাদশী তিথি। আজ সূর্য (Sun) ধনু রাশিতে এবং চাঁদ বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করবে। আজ পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষ দ্বাদশী তিথি। নক্ষত্র হল অনুরাধা। আজকের রাহুর কাল (Rahu Kaal) শুরু হচ্ছে সকাল ১১.১০ মিনিট থেকে ১২.২০ পর্যন্ত। সূর্যোদয়ের সময় সকাল ৭.১২ মিনিট। আর সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫.৪৭ মিনিটে। আজ চন্দ্রোদয় ঘটবে ভোগ ৪.১৫ মিনিটে। চন্দ্রাস্ত হবে দুপুর ৩.২৫ মিনিটে।
আজ ৩১ ডিসেম্বরের অভিজিৎ মুহূর্ত হল দুপুর ১২.০৮ মিনিট থেকে দুপুর ১২.৫১ মিনিট। অমৃত কাল হল দুপুর ১২.৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ২.১১ মিনিট পর্যন্ত। ব্রক্ষ্ম মুহূর্ত ভোর ৫.৩৫ মিনিট থেকে ভোর ৬.২৩ মিনিট পর্যন্ত চলবে। আজ যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে এই সময় সম্পর্কে জেনে নিন। শাস্ত্র মতে, শুভ সময় কোনও কাজ শুরু করলে সকল সুফল মেলে। এমনকী, পুজো পাঠের জন্যও এই সময় জানাপ প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: Fear of Life: সহজ এই নিয়মগুলি মেনে জীবনের সবচেয়ে বড় ভয় দূর করুন
অন্যদিকে, পঞ্চাঙ্গ অনুসারে আজ শূল যোগ ও গণ্ড যোগ রয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর রাত ৯.৪৯ মিনিট থেকে ৩২ ডিসেম্বর সন্ধ্যে ৬.০০ মিনিট পর্যন্ত হল শূল যোগ। আর গণ্ড যোগ ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬.০০ মিনিট থেকে ১ জানুয়ারি দুপুর ১.৫৫ মিনিট পর্যন্ত। এদিকে শাস্ত্রে প্রতিদিন পঞ্চাঙ্গ পাঠের কথা উল্লেখ আছে। বলা হয়েছে, রোজ সকালে স্নান সেরে পঞ্চাঙ্গ পাঠ করলে সর্ব কাজে সুফল মেলে। জীবনের সকল বাধা-বিপত্তি পঞ্চাঙ্গ মেনে চলতে পারেন। এতে সব কাজে যেমন সাফল্য মিলবে, তেমনই উন্নতি অনিবার্য।