চার কোন যেমন- ঈশান, নৈর্ঋত, অগ্নি এবং বায়ু। আর আপনার বাস্তুতে এই প্রত্যেকটি দিক বা কোনের রয়েছে আলাদা আলাদা গুরুত্ব। তাই সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পালন করুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি।
দেবীপক্ষের (Devipakkha) শুরুতেই পাল্টে যায় গ্রহ নক্ষত্র পাশাপাশি বিভিন্ন তিথির পরিবর্তন ঘটে। এই সময় শুভ ক্ষণ বৃদ্ধি পায় ও কৃপা দৃষ্টি বাড়ে, তাই এই সঠিক সময়কে কাজে লাগিয়ে এবার সৌভাগ্যের (Good Luck) চাবিকাঠি পান হাতের মুঠোয়। কীভাবে, জেনে নিন বাস্তুর (vastu Tips) এই বিষয়গুলি।
বাস্তুতন্ত্র এবং বাস্তু বিচার বহু প্রাচীন যুগ থেকেই চলে আসছে। নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে ঘরের আসবাব, বাগান তৈরি প্রতিটা ক্ষেত্রই হতে পারে বাস্তু মেনে। কারণ এর রয়েছে অনেক সুফল, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। শাস্ত্র অনুযায়ী রয়েছে চার দিক যেমন, উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, ও চার কোন যেমন- ঈশান, নৈর্ঋত, অগ্নি এবং বায়ু। আর আপনার বাস্তুতে এই প্রত্যেকটি দিক বা কোনের রয়েছে আলাদা আলাদা গুরুত্ব। তাই সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পালন করুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন- আর্থিক সমস্যা দূর করতে বৃহস্পতিবার পালন করুন এই নিয়ম, কাটিয়ে উঠুন সমস্যা
আরও পড়ুন-অ্যাকোরিয়াম কেবল সৌন্দর্য নয়, পরিবারে সুখ বয়ে আনতেও মোক্ষম উপাদান, জানুন বাস্তু টিপস
আরও পড়ুন-হাতে এক মাসেরও কম সময়, সন্ধিপুজো থেকে অষ্টমী আরতী, চটজলদি জেনে নিন এবার দুর্গাপুজোর নিঘন্ট
পাশাপাশি ঘরের দক্ষিণ পশ্চিম কোন কখনোই অন্ধকার রাখবেন না। প্রয়োজনে আলো জ্বেলে রাখুন। দরজার সামনে ফুলের সুন্দর ছবি রাখুন। প্রয়োজনে সূর্যমুখী ফুলের ছবি রাখতে পারেন। বাড়ির চারপাশে শুকনো বা মরা গাছ থাকলে, তা যত দ্রুত সম্ভব অপসারণ করুন। বাড়ির মূল প্রবেশ পথ সব সময় পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। এতে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। সম্ভব হলে প্রধান প্রবেশ দরজায় চৌকাঠ একটু উঁচু করে দিন। যাতে ঘরের মধ্যে বাইরের আবর্জনা প্রবেশ করতে না পারে। বারতি ঝামেলা থেতে মুক্তি পেতে স্নানের জল রোদে রেখে সেই জলে স্নান করুন। প্রতিদিন গরু বা কুকুর-কে অন্ন দান করুন। এতে বহু বাধা কেটে যায়।
বাস্তুশাস্ত্র, এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা কালের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হয়েছে। বৈদিক যুগে স্থাপত্য বিজ্ঞান মূলত মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে তা বিস্তার লাভ করে। প্রাচীন যুগে স্থপতিরা কেবল নিছক তৈরির কাজ করতেন না, নির্মাণশৈলী ও পরিকল্পনার বিষয়টিও তদারক করতে হত তাঁদের।