সংকট দূর হবে দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী গণেশ চতুর্থী ব্রত পালনে, জেনে নিন পুজোর সময়

 শুক্লপক্ষে পালিত ব্রতকে বলে বিনায়ক চতুর্থী আর ক্ষয়প্রাপ্তির ব্রতকে বলে সংকষ্টী। প্রতিটি সংকষ্টী ব্রতর নির্দিষ্ট নাম আছে। যেটি ফাল্গুন বা মাঘ মাসে পড়ে তাকে বলে দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী গণেশ চতুর্থী (Dwijapriya Sankashti Ganesh Chaturthi)। 

গণেশ ভক্তরা চন্দ্র পাক্ষিকের চতুর্থ দিনে (চতুর্থ তিথি) উপবাস করে গণেশ (Lord Ganesh) পুজোর রীতি প্রচলিত। শুক্লা ও কৃষ্ণ উভয় পক্ষে গণেশ পুজো হয়। শুক্লপক্ষে পালিত ব্রতকে বলে বিনায়ক চতুর্থী আর ক্ষয়প্রাপ্তির ব্রতকে বলে সংকষ্টী। প্রতিটি সংকষ্টী ব্রতর নির্দিষ্ট নাম আছে। যেটি ফাল্গুন বা মাঘ মাসে পড়ে তাকে বলে দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী গণেশ চতুর্থী (Dwijapriya Sankashti Ganesh Chaturthi)। 

হিন্দু ধর্মে উল্লেখ আছে একাধিক উৎসবের। উল্লেখ আছে একাধিক পুজো ও ব্রতর। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, এই সকল উৎসবের অন্যতম হল দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী গণেশ চতুর্থী (Dwijapriya Sankashti Ganesh Chaturthi)। বছরে একাধিকবার পুজিত হন ভগবান গণেশ। এমনকী, যে কোনও শুভ অনুষ্ঠান কিংবা পুজোর শুরুতে গণেশের আরাধনা করা হয়। এছাড়াও, বছরের একাধিক সময় গণেশে ব্রত রাখেন ভক্তরা। এবছর দ্বিজপ্রিয় সংকষ্টী গণেশ চতুর্থী পড়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯.৫৬ মিনিটে। আর ছাড়ছে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯.০৫ মিনিটে। 
 

বাবিয্যত এবং নরসিংহ পুরাণে সংকষ্টী ব্রতের উল্লেখ মেলে। কথিত আছে, মাঘ সংকষ্টী চতুর্থীর দিন ভক্তরা গণেশের (Lord Ganesh) দ্বিজপ্রিয়া মহা গণপতি রূপের পুজো করে। সংকষ্টী শব্দের অর্থ মুক্তি। ভগবান গণেশকে বাধা দূরীকরণকারী এবং দুঃখ দূরকারী হিসেবে পরিচিত। ভক্তরা তাদের দুঃখ দূর করতে এই ব্রত পালন করেন। সংকষ্টী চতুর্থীর দিন উপবাস করে ব্রত পালন করতে হয়। এদিন সূর্যোদয় থেকে চন্দ্রদয় পর্যন্ত ব্রত পালন করেন।   

সংকষ্টী ব্রত পালন করতে চাইলে সকালে উঠে স্নান করুন। এরপর পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন। ঘি-এর প্রদীপ জ্বালিয়ে দেবতার সামনে রাখুন। তারপর গণেশকে ফুল, বেলপাতা অর্পন করুন। ফল ও মিষ্টি দিন ভগবান গণেশকে (Lord Ganesh)। পাঠ করুন সংকষ্টী ব্রত। নিষ্ঠান সঙ্গে এই ব্রত পালনে সমস্ত দুঃখ কেটে যাবে।  প্রতি শুক্লপক্ষে গণেশের যে ব্রত পালন হয় তাকে বলা হয় বিনায়ক চতুর্থী। আর ক্ষয়প্রাপ্তির ব্রতকে বলে সংকষ্টী। প্রচলিত আছে, ভক্তদের মনের ইচ্ছে পূরণে একাধিকবার মর্ত্য আসেন ভগবান গণেশ। তার আরাধনা করলে সমস্ত কার্যে সফল হবেন। এমনকী, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় গণেশ নাম জপ করার তাৎপর্য আছে। মনে করা হয়, কর্মস্থলে গণেশ মূর্ত রাখলে সমস্ত বাধা কেটে যায়। বাড়িতে গণেশের সাদা মূর্তি রাখা শুভ। এতে সংসারে শান্তি বজায় থাকে।   

Latest Videos

আরও পড়ুন: চাণক্য নীতি, 'এই ৪টি বিষয় প্রতিটি বাবা-মায়ের সন্তান পালনের সময় মনে রাখা উচিত'

আরও পড়ুন: পুরির জগন্নাথ মন্দির সম্পর্কে ১০টি রহস্য, আজও কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না

আরও পড়ুন: শুক্রবার ৬ রাশির অতিরিক্ত আয়ের যোগ রয়েছে, দেখে নিন আজকের রাশিফল
 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News