সংক্ষিপ্ত
এই দিনে ভগবান শিবের আরাধনা করলে, একজন ব্যক্তি জীবনের সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পান। আসুন জেনে নিই মহাশিবরাত্রির তিথি, শুভ সময় এবং পূজা পদ্ধতি সম্পর্কে।
হিন্দু ধর্মে শিবের পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ভগবান শিব একজন অত্যন্ত দয়ালু এবং করুণাময় ঈশ্বর। তিনি শুধু গঙ্গাজলেই সন্তুষ্ট হন। হিন্দু শাস্ত্রে মহাশিবরাত্রির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ফাল্গুন মাসের মহা শিবরাত্রির কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীর দিনে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়। এই দিনে আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ভগবান শিবের পূজা করলে কাঙ্খিত ইচ্ছা পূরণ হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিনে উপবাস সৌভাগ্য নিয়ে আসে।
এছাড়াও, এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে ভগবান শিবের আরাধনা করলে, একজন ব্যক্তি জীবনের সমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পান। আসুন জেনে নিই মহাশিবরাত্রির তিথি, শুভ সময় এবং পূজা পদ্ধতি সম্পর্কে।
মহাশিবরাত্রি ২০২২ তিথি
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ২০২২ সালে, মহাশিবরাত্রি তিথি ১ মার্চ মঙ্গলবার ভোর ৩ টে বেজে ১৬ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং চতুর্দশী তিথি ২ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় শেষ হবে।
মহাশিবরাত্রি পূজার জন্য শুভ সময়-
মহাশিবরাত্রি ২০২২ শুভ মুহুর্ত: মহাশিবরাত্রির প্রথম প্রহরের পূজা- ১ মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ২১ মিনিট থেকে রাত ৯ টা বেজে ২৭ মিনিট পর্যন্ত।
দ্বিতীয় প্রহরের পূজা হবে ১লা মার্চ সকাল ৯ টা বেজে ২৭ মিনিট থেকে রাত ১২ টা বেজে ৩৩ মিনিট পর্যন্ত।
তৃতীয় প্রহরের পূজা - ১ মার্চ রাত ১২ টা বেজে ৩৩ মিনিট থেকে ভোর ৩ টে বেজে ৩৯ মিনিচ পর্যন্ত।
চতুর্থ প্রহরের পূজা - ২ মার্চ ভোর-রাত ৩ টে বেজে ৩৯ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত।
পারনের সময়- ২ মার্চ বুধবার, সকাল ৬ টা বেজে ৪৫ মিনিটের পর থেকে।
আরও পড়ুন- নতুন বছরে যাবতীয় সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, এই নিয়মে করুন শিব পুজো
আরও পড়ুন- শ্রাবণ মাসে এইভাবে করুন মহাদেবের পুজো, চিরতরে দূর হবে আর্থিক সমস্যা
আরও পড়ুন- মানসিক অবসাদে ভুগছেন, মেনে চলুন এই নিয়ম কাটিয়ে উঠুন মানসিক অসুস্থতা
মহাশিবরাত্রি ২০২২ পূজা বিধান-
মহাশিবরাত্রি ২০২২, যা ফাল্গুন মাসে পড়ে, এটিকে বছরের সবচেয়ে বড় শিবরাত্রি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই দিন ব্রাহ্ম মুহুর্তে স্নান করার পর বাড়ির পূজার স্থানে গঙ্গাজল ভর্তি ঘট শিবের লিঙ্গে ঢালুন। এর পরে, সাধ্যমত তিনটে গোটা ফল, একটা ধূতরা ফুল, নীলকন্ঠ ও আকন্দ ফুলের মালা দিয়ে তার অভিষেক করুন। প্রসাদ হিসেবে বাতাসা বা নকুলদানা অবশ্যই রাখবেন। ১০৮ বার 'ওম নমঃ শিবায়'-মন্ত্র জপ করুন। পুজো শেষ ব্রতকথা শুনুন।