
বিধ্বংসী আগুন বাংলাদেশের চকবাজারের একটি হোটেলে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র তিন জনকে উদ্ধার করেছে দমকল কর্মীরা। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। নিহতরা সকলেই স্থানীয় বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ আগুন লাগে দেবীঘাটে। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন দুঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বেলা ২টো ২০ মিনিটে। তারপরই দমকল কর্মীরা মৃত দেহ উদ্ধারের কাজ শুরু করেন। মৃতরা সকলেই হোলেটকর্মী বলেও দাবি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দমকল জানিয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর হোটেলের অনেক কর্মী নিখোঁজ বলে তাদের কাছে রিপোর্ট করা হয়। তারপরই তারা তল্লাশি শুরু করে পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়া হোটেলে। সেই সময়ই উদ্ধার হয় মৃতদেহগুলি।
হোটেল সূত্রে জানা গেছে রাতে নাইট ডিউটি সেরে অনেকেই হোটেরই ওপরে একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। আগুন লাগার পরে তারা হয়তো জানতে পারেনি। তাই সময়মত বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারাই পুড়ে মারা গেছে। এখনও তিনটি দেহের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
দলমক বিভাবের প্রধান কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, যে বাড়িটিতে আগুন লাগে তার নিচের তলায় বরিশাল হোটেল নাম একটি হোটেল রয়েছে। সেখানেই প্রথম আগুন লাগে। তারপর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ভবনের আশেপাশে কোনও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কিন্তু এই বাড়ির আশেপাশে যে বাড়িগুলি তৈরি হয়েছে তা নির্ধারিত নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। আর সেই কারণে আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে। লালবাগ পুলিশ জানিয়েছে বেআইনি ও অবৈধ বাড়ির কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই এলাকার বেশ কয়েকটি বেআইনি কারখানাও রয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সরকারি জমি লিজ নিয়ে এসব কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। যে হোটেল থেকে আগুন লেগেছে, সেখানে আগে গ্যাসের লাইন ছিল। বিল বকেয়া থাকায় হোটেলটির গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে তারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। স্থানীয়রা দুপুর ১২টা নাগাদ বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলেও জানিয়েছেন।