বাংলাসহ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা যখন উত্তপ্ত নবী ও হজরত মহম্মদকে অপমান করার অভিযোগ তুলে তখন নিজের স্বভাব মতই স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন
বাংলাসহ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা যখন উত্তপ্ত নবী ও হজরত মহম্মদকে অপমান করার অভিযোগ তুলে তখন নিজের স্বভাব মতই স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। পরপর দুটি টুইট করেই তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। একটিতে তিনি বলেছেন, নবী মহম্মদ বেঁচে থাকলে অবাক হতেন। অন্যটিতে তাঁর বক্তব্য কেউই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়।
দিন দুই আগেই তসলিমা নাসরিন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বলেছিলেন, কেউ সমালোচনার উর্ধ্বে নয়, মানুষ নয়, সাধু , মসীহ, নবী, দেবতা কেউই নয়। বিশ্বকে একটি ভালো জায়গা করে তোলার জন্য সমালোচনমূল যাঁচাই আর বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। আর গতকাল অর্থাৎ ১০ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তসলিমা বলেন, 'আজ নবী মহম্মদ বেঁচে থাকলে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মান্ধদের উন্মাদনা দেখে হতবাক হয়ে যেতেন।'
'
তসলিমা কিসের পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানাননি। তবে ভারতে যখন শাসকদলের নেত্রী হিসেবে নূপুর শর্মা একটি টেলিভিশন ডিবেটে নবীকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ তুলে মুসলিমরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। কোথাও কোথাও সেই প্রতিবাদ হিংসার রূপ নিয়েছে- তখনই পরপর দুই দিন তসলিমা নাসরিন দুটি টুইট করেন। সেখানেই তিনি নিজের ধর্মের সমালোচনা করেন। যদিও নূপুর শর্মার মন্তব্যের তাঁকে ও তাঁর এক সহকর্মীকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি।
যাইহোক গত তিন দশক ধরে তিনি বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত। ৫৯ বছরের তসলিমাকে একাধিকবার মৌলবাদী সংগঠন হত্যার হুমকি দিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন তাঁর ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের জন্য। তারপর কিছুদিন পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন। তারপর তিনি চলে গিয়েছিলেন জার্মানিতে। কিন্তু সেখানেই সমস্যা দেখা দেওয়ায় বর্তমানে তিনি রয়েছেন সুইডেনে। সুইডিশ নাগরিকত্ব রয়েছেন তাঁর। তসলিমা গত দুই দশক ধরে ইউরোপ ও মার্কিযুক্তরাষ্ট্রেও থেকেছেন। সংক্ষিপ্তি আবাসিক পারমিটে ভারত সফরও করেছেন তিনি। তবে অনেক দিন ধরেই তিনি নিজের দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাতে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেয়নি বাংলাদেশ সরকার।
যাইহোক বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করা হলেই তাঁর মন্তব্যের জন্য গত দুই দিন হিংসায় উত্তাল হয়ে উঠেছে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। কলাকাতাতেই যার আঁচ পড়তে শুরু করেছে। পরপর সংঘর্ষের জেনে এখনও পর্যন্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেক বিক্ষোভকারীকে। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, কলকাতাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নূপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছিল।
পার্ক সার্কাসে গুলি- আত্মঘাতী পুলিশ কর্মী, মরার আগে গুলিতে মাথা ফুঁটো করে দিলেন মহিলার
'রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্য়বহার', মমতাকে চড়া সুরে আক্রমণ অমিত মালব্যর
পার্ক সার্কাসে পুলিশের গুলিতে থেমে গেল হাওড়ার রিমার জীবন, হবু স্বামীকে কথা দিয়েও বাড়ি ফেরা হল না