সংক্ষিপ্ত
হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গুজবের কারণে এলাকায় বেড়েছে বেআইনি কার্যকলাপ।
নূপুর শর্মার মন্তব্যের জের- বৃহস্পতিবারের পর এদিন প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত হাওড়ায়। আজও অবরোধ বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে গুজবের কারণে এলাকায় বেড়েছে বেআইনি কার্যকলাপ। আর সেই কারণে আগামী কয়েক দিনের জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাওড়ার বেশ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে জানান হয়েছে, ভয়েস কল, এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করা হচ্ছে না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। ভারতের সংবিধান মেনে বাকস্বাধীনতা যাতে বজায় রাখা হয় তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান হয়েছে। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকা ও হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের অধীনে থাকা এলাকায় এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে বলেও জানান হয়েছে। এদিন সন্ধ্য ৬টায় এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশ বলবত থাকবে আগামী ১৩ জুন অর্থাৎ আগামী সোমবার পর্যন্ত।
অন্যদিকে বিজেপি সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের জেলে আজও হাওড়ার বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। চেঙ্গাইলে রেল অবরোধের জেরে প্রায় ৬ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যহত হাওড়া-খড়গপুর শাখা। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। শুক্রবার দুপুর ১টার সময় অবরোধ শুরু হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টার পরে বিক্ষোভকারীদের তোলা সম্ভব হয়েছে। পাঁচটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়।
উলুবেড়িয়ার বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদেরর বাড়িতে হামলারও। পাঁচলায় দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। ডোমজুড় থানা এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। ধুলাগোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিন সকাল থেকেই
নবী সম্পর্কে মন্তব্য ও বিজেপির সাসপেন্ড হওয়া নেত্রী নুপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল দিল্লি ও কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। শুক্রবারের জুম্মার নামাজের পরই বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ হয়। এটাই প্রথম নয়। নুপুর শর্মা ও তাঁর সহকর্মী নবীন জিন্দালের মন্তব্য নিয়ে বর্তমানে গোটা দেশই উত্তাল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। দিল্লিতে জুম্মার নামাজের পরই মুসলমান সম্প্রদায়ের বহু মানুষ বিক্ষোভ দেখান মসজিদ চত্ত্বরে। যদিও জামে মসজিদের শাহী ইমাম বলেন মসজিদের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়নি বা এজাতীয় কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি ডাকা হয়নি।