নোবেল মানেই বিতর্ক। এর চর্চিত বিতর্কের শেষটা যে কোথায় তা হয়তো কারোরই জানা নেই। তবে বাবা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনতে গিয়ে যে এতদূর পর্যন্ত বিতর্ক গড়াতে পারে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি বাংলাদেশী গায়ক। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নোবেল ফেসবুকে জানিয়েছিলেন , হয়তো বাবা-মা হতে চলেছি আমরা। আমি এবং আমার সহধর্মিনীর জন্য দোয়া করবেন। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল এই খবর। কিন্তু নোবেলের এই দাবি কোনওমতেই মানতে চাননি তার স্ত্রী। গায়কের এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভুয়ো ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন গায়কের স্ত্রী মেহরুনা সালসাবিল মাহমুদ।
আরও পড়ুন-একটা প্রমোশনাল পোস্টের জন্য ৩ কোটি টাকা, ২৭-শে প্রিয়ঙ্কার বার্ষিক আয় জানলে আঁতকে উঠবেন
সম্প্রতি ভুঁয়ো খবরের দাবি উড়িয়ে ফেসবুক লাইভে এসে নোবেলের স্ত্রী মেহরুনা সালসাবিল মাহমুদ জানিয়েছেন, আমি অন্তঃসত্ত্বা নই, নোবেল কেন এই মিথ্যাচার করছে তা আমি জানি না। গত ৩০ জুন মা হওয়ার গুজব উড়িয়ে নোবেলের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক তথ্যা ফাঁস করার পরই সকলকে চমকে দেন মেহরুনা। এর ঠিক ২ দিন পরই ফেসবুকে সরব হন নোবেল। নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন নোবেল। গায়ক জানিয়েছেন, এ কোনও মিথ্যাচার নয়, স্ত্রীর কাছে সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবর পেয়েই আবেগতাড়িত হয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই স্ত্রীর কাছ থেকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। এমনকী গর্ভপাত করানোরও হুমকি পেয়েছেন স্ত্রী মেহরুনার কাছে।
ফেসবুকের দীর্ঘ পোস্টে নোবেল জানিয়েছেন, 'মাতৃত্ব কেবল মাত্র একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং খুব গর্বের একটি বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করেনা। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা কিন্তু সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে। আমার স্ত্রী, সালসাবিল তাঁর অন্তসত্যা হবার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্টেটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কি স্বাভাবিক নয়? আপনি বাবা হবার ইঙ্গিত পেলে নিজে কি করতেন বলুন? আমি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হবার খুশি ধরে রাখতে পারিনি। তবে স্টেটাসটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী, সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা “এবর্শন” করে ফেলবে, এই হুমকি দেয়। কারণ আমি নাকি তাঁর বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালেন্স এই মুহূর্তে একটু কম। যেহেতু আমাদের শিল্পীদের গত বছর মার্চ থেকে “লাইভ কন্সার্ট” বন্ধ। তাছাড়া দুজন প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে-মেয়ে স্বসম্মতিতে বিয়ে করেছি, তাই আমার স্ত্রীর পিতৃপক্ষ কোনভাবেই আমাদের বিয়ে টিকতে দেবেনা। এমনকি আমার ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও আমি আমার স্ত্রীকে মেডিকেল টেস্ট করবার আগেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে স্টেটাসটি দেই। মেডিকেল করলে হয়তো পজিটিভই আসতো। তবে যানিনা এতক্ষনে আমার সম্ভব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি “পিলস” খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেস্তাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।
কিন্তু আমি তো আমার স্ত্রীর কোনো সন্ধানই যানিনা। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কি করে, কি পরে, কি খায়? কিছুই যানিনা। এই ১.৫ বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী খুব অল্প সময়ই ছিলো। কারন সে তার পড়ালেখা এবং তার বাবা-নানু-খালা-বোনদের নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। সংসারটা এখনও আমার করা হয়নি। হয়তো হবে একদিন।আমাদের সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেনো আজ এই কাদা ছোড়াছুড়ি। সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য। ধন্যবাদ'।