বেশ কিছুদিন ধরে বনি সেনগুপ্তর বিজেপি ছাড়ার জল্পনা তুঙ্গে ছিল। নির্বাচনের পর থেকেই কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে সেভাবে দেখা যায়নি বনি সেনগুপ্তকে। কানাঘুষোতে শোনা যাচ্ছিল রাজনীতি থেকে বিরতি নিতে চলেছেন বনি সেনগুপ্ত। এবার সেই জল্পনায় শিলমোহর দিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত।
রাজনীতির ময়দানে সদ্য নেমেই ভোলবদল হয়েছে একাধিক তারকার। অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী থেকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, একে একে বিজেপি ছেড়েছেন টলিপাড়ার একাধিক তারকা। মাত্র চার মাসেই মোহভঙ্গ হয়েছিল তনুশ্রী চক্রবর্তী। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কের তার ছিন্ন করেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন নায়িকা। কিন্তু হঠাৎ কী এমন হল যে গেরুয়া শিবির থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন নায়িকা। তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এবার সেই পথে হাঁটলেন টলি তারকা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta left BJP) ।
বেশ কিছুদিন ধরে বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta) বিজেপি (BJP) ছাড়ার জল্পনা তুঙ্গে ছিল। নির্বাচনের পর থেকেই কোনও রাজনৈতিক মঞ্চে সেভাবে দেখা যায়নি বনি সেনগুপ্তকে। কানাঘুষোতে শোনা যাচ্ছিল রাজনীতি থেকে বিরতি নিতে চলেছেন বনি সেনগুপ্ত। এবার সেই জল্পনায় শিলমোহর দিলেন অভিনেতা। সোমবার টুইটে জানান, তিনি বিজেপি ছাড়ছেন। টুইটে বনি লেখেন, আমি সবাইকে জানাচ্ছি যে আজকের পর থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আমার আর কোনও যোগাযোগ থাকবে না। এই পার্টি কথা রাখতে ও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। তারা পশ্চিমবঙ্গ ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যে উন্নতির কথা বলেছিলেন, সেরকম কোনও উন্নতি আমি দেখতে পায়নি। অন্যদিকে বনি সেনগুপ্তর (Bonny Sengupta) প্রেমিকা কৌশানি মুখোপাধ্যায় (Kaushani Mukherjee) ও মা পিয়া সেনগুপ্ত (Piya Sengupta ) তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তবে কি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন বনি (Bonny Sengupta) , জল্পনা বাড়ছে। বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হননি বনি। তবে ভোটপ্রচারে যশের পাশে দেখা গিয়েছিল বনি সেনগুপ্তকে। আপাতত রাজনীতি থেকে সরে গিয়ে ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন-কার সঙ্গে মলদ্বীপে উড়ে গেলেন ক্যাটরিনা,প্রিন্টেড বিকিনিতে ঘুম কাড়লেন ভিকি ঘরনি
আরও পড়ুন-Priyanka Chopra: নিক-প্রিয়ঙ্কার মেয়ের ছবি কি ফাঁস হল ইনস্টাগ্রামে, জোর চর্চা নেটদুনিয়ায়
প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে বনি (Bonny Sengupta) জানিয়েছেন, 'আমি বিজেপি (BJP) ছাড়ার টুইট করার পরই বিজেপির নেতারা আমাকে ট্রোল করতে শুরু করে। ২ তারিখের পর থেকে বিজেপির একটাই লক্ষ্য কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো যায়। অন্যদিকে উন্নতির কোনও লক্ষ্যইঈ নেই। কেউই কোনও খবর নেয় না। শুভেন্দু দা এবং রাজীব দার হাত ধরেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম কিন্তু কেউই কারোর খবর রাখে না। বিজেপির একজন নেতা তিনি সবসময় আর্টিস্টদের দিকে আঙুল তোলেন, সেগুলো শুনতে খারাপ লেগেছিল। হেরে যাওয়ার পর কেউ কিছু নিয়ে কথা বলে না। কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই এই দলে। মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা বা প্রচেষ্টা কোনওটাই নেই। তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জল্পনার মধ্যে অভিনেতা সাফ জানিয়েছেন, এখন আর কোনও রাজনৈতিক দল নয়, এবার অভিনয়টা মন দিয়ে করতে চাই। হাতে বেশ কয়েকটি ছবির কাজ রয়েছে বনির। আপাতত সেইদিকে মনোনিবেশ করতে চান'।