শতকের দোরগোড়ায় থামল জীবনের ইনিংস. চলে গেলেন শৈশবের স্বপ্ন জাগানো কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ

মঙ্গলবার সকালেই চলে গেলেন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট। এদিন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সকাল ১০.১৬ মিনিটে। 

Jayita Chandra | Published : Jan 18, 2022 5:43 AM IST / Updated: Jan 18 2022, 12:11 PM IST

প্রয়াত বাঁচুল দি গ্রেট-এর সৃষ্টিকর্তা কমিক শিল্পী নায়ারণ দেবনাথ। দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। মঙ্গলবার সকালেই চলে গেলেন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট। এদিন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সকাল ১০.১৬ মিনিটে। ডাক্তার সূত্রে জানা যায়, এই টিমই তাঁকে বারে বারে সুস্থ করে তুলেছিলেন। গতকাল রাতে অবস্থা স্বাভাবিক থাকার সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকালেই হঠাৎ ব্লাডপ্রেশার নেমে যায়। এরপর শেষ রক্ষা হয়নি। 

খবর সামনে আসা মাত্রই শোকের ছায়া বাংলায়। সকলের শৈশবের সঙ্গে জড়িয়ে এই নামটি। একের পর এক কার্টুন চরিত্রের সঙ্গে বাঙালির বেড়ে ওঠা। বাঁটুল দি গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা, নন্টে ফন্টে, বাহাদুর বেড়াল, ব্ল্যাক ডায়মন্ড ইন্দ্রজিৎ রায়, ম্যাজিশিয়ান পটলচাঁদ, ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু, কৌশিক রায়, পেটুক মাস্টার বটুকলাল, শুঁটকি আর মুটকী-র মত চরিত্ররা, যারা তাঁর হাতে বেড়ে উঠেছে। ওঁনার শেষকৃত্য নিয়ে এখনও কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। কোভিড বিধি মেনেই সময়টা আয়োজন করা হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। বার্ধক্য জণিত কারণেই বারে বারে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন নায়ারণ দেবনাথ। তবে সব লড়াই শেষ করে চিরনিদ্রায় চলে যাওয়া বাঙালির এই কাছের মানুষটি অমর সকলের মননে। সকলের শৈশবে।  

আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন 'বাঁটুল গি গ্রেটের' স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath)। ভেন্টিলেশনে (ventilation)দেওয়ার পর থেকেই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয় বিখ্যাত কার্টুনিস্টের (Famous cartoonist)। বিগত বেশ কিছু সময় ধরেই বার্ধ্যক্যজনতি সমস্যায় ভুগছিলেন নারায়ণ দেবনাথ। ৯৮ বছর বয়স হওয়ায় শারীরিক ক্ষমতাও অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে গত ২৪ ডিসেম্বর ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন নারায়ণ দেবনাথ। তারপরই ডাক্তারের বিশেষ টিম তারি করে শুরু হয়েছিল চিকিৎসা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। 

নারায়ণ দেবনাথ মানেই কার্টুনের দুনিয়ায় এক যুগের গল্প, যাঁর হাত ধরে কমিকস দুনিয়ার নানা অধ্যায় বোনা হয়েছে। ছোটদের প্রিয় চরিত্র নন্টে ফন্টের (Nonte Fonte) সৃষ্টিকর্তা তিনি। সাদা কালো থেকে রঙিন পাতায় ফুঁটে ওঠা চরিত্রেরা প্রতিটা বাঙালির খুব কাছের। মজার এই কমিকসেই (Comics) মেতে রয়েছে বাঙালিরা বছরের পর বছর। তাঁর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন ভক্তরা। মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই তাঁর হাতে এসে পৌছে ছিল পদ্মশ্রী সম্মান। 

Share this article
click me!