TONIC : পরাণ ম্যাজিকেই কি মজল দর্শক, স্পাইডারম্যানকে বলে বলে গোল দিচ্ছে 'টনিক'

টনিক-জ্বরে কাবু গোটা টলিপাড়া। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা টনিক-ই ভরসা। এই টনিক-কেই কাজে লাগাচ্ছে বাঙালি। সকলের মুখে এখন একটাই সংলাপ। দেবের মুখের এই সংলাপেই যেন মোড় ঘুরে গেছে বাংলা সিনেমার। সকলের জন্য ভাল থাকার 'টনিক' নিয়ে হাজির হয়েছেন অভিনেতা দেব। একদিকে টনিক অন্যদিকে হলিউড মার্ভেল হিরো স্পাইডার ম্যান কিন্তু সিনেমা হলে গেলেই বোঝা যাচ্ছে স্পাইডারম্যানেক বলে বলে গোল দিচ্ছে টনিক। দেব-পরাণ জুটির চমকই বাজিমাত করেছে দর্শকদের। একদিকে বর্ষশেষ অন্যদিকে বড়দিন, আর বছরের শেষ সময়টাতেই এবার একরাশ মন ভাল করা টনিক নিয়ে হাজির হয়েছেন অভিনেতা দেব। 

Riya Das | Published : Dec 28, 2021 7:23 AM IST / Updated: Dec 28 2021, 04:47 PM IST

টনিক-জ্বরে কাবু গোটা টলিপাড়া। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা টনিক-ই ভরসা। এই টনিক-কেই (Tonic) কাজে লাগাচ্ছে বাঙালি। সকলের মুখে এখন একটাই সংলাপ। দেবের মুখের এই সংলাপেই যেন মোড় ঘুরে গেছে বাংলা সিনেমার। তবে কি চলচ্চিত্র জগতে এই টনিক কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যে ছবিটা পুরো অন্যরকম। করোনাকালে এমন দৃশ্য যা গত দেড় বছরেও দেখেনি বাঙালি দর্শক। প্রতিটা প্রেক্ষাগৃহেই হাউসফুল। আসলে একরাশ তাজা নিঃশ্বাস বাঙালিকে ভরিয়ে দিচ্ছে এই টনিক। সকলের জন্য ভাল থাকার 'টনিক' নিয়ে হাজির হয়েছেন অভিনেতা দেব। শরীরে খারাপ থেকে অতিরিক্ত  টেনশন একদমই আর নয় কারণ একটাই সমস্ত সমস্যার এখন একটাই নাম টনিক।

করোনাকালে দর্শকদের হলমুখী করছে নো প্যানিক অনলি টনিক। আর এই টনিকেই মজেছে আট থেকে অষ্টাদশী । তবে দীর্ঘদিন বাদে বাংলা ছবির এমন ভাল রেসপন্স দেখে সকলেই খুবই আনন্দিত। একদিকে টনিক অন্যদিকে হলিউড মার্ভেল হিরো স্পাইডার ম্যান (Spider Man) কিন্তু সিনেমা হলে গেলেই বোঝা যাচ্ছে স্পাইডারম্যানেক বলে বলে গোল দিচ্ছে টনিক। (Dev ) দেব-পরাণ (Paran Bandopadhyay) জুটির চমকই বাজিমাত করেছে দর্শকদের। একদিকে বর্ষশেষ অন্যদিকে বড়দিন, আর বছরের শেষ সময়টাতেই এবার একরাশ মন ভাল করা টনিক নিয়ে হাজির হয়েছেন অভিনেতা দেব।  প্রতিটা হলেই হাউজফুল টনিক। টিকিটের চাহিদা মেটাতে একের পর এক মাল্টিপ্লেক্সে বাড়ানো হচ্ছে শো-এর সংখ্যা। এবং সেই সমস্ত তথ্য সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন টনিক দেব।

 

 

ছবিতে সম্পর্কের গল্প যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে এক সামাজিক বার্তা। এক বৃদ্ধ বাবা আর ছেলের গল্পই বলেছে এই ছবি। যা খুবই তিক্ততার।  সমস্যার সূত্রপাত শুরু হয় বাবা-মায়ের ৫০ বছরের বিবাহবার্ষিকী পালন নিয়ে।  কোনওরকমে বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকী বাড়ির ছাদে পালন করেই ঠিক তার পর পরই নিজের বিয়ের বর্ষপূর্তি পালন করে ব্যাংককে। আর সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।  বাবা এবং মায়ের চরিত্রে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শকুন্তলা বড়ুয়াকে নিয়ে কোনও কথাই হবে না । আর এই তিক্ত সম্পর্ক ঠিক করতেই হাজির হয় টনিক ওরফে দেব। অসম বয়সী দুই অভিনেতার দুর্দান্ত যুগলবন্দী  ছবির মূল ইউএসপি। সবকিছু যেন বড্ড বাস্তব। সংসারের এত সুন্দর ব্যাখা ছবিতে তুলে ধরেছেন পরিচালক অভিজিৎ সেন যা সত্যিই প্রশংসীয়। টনিকের হাত ধরে যেভাবে গোটা ছবিতে প্রজাপতির মতো পাখা মেলে উড়ে বেড়ালেন জলধর সেন (Paran Bandopadhyay) তা যেন অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। বয়স যে নিছকই একটা সংখ্যা মাত্র তা যেন হাতে কলমে প্রমাণ করে দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসার-অশান্তি- ছেলের বকা- বউয়ের ঘ্যানঘ্যানানি দিবারাত্র না শুনে  জীবনকে কীভাবে উপভোগ করতে হয় তা অবলীলায় দেখালেন ৭০ বছরের জলধর সেন। আর জলধরের জীবনে বাড়িতে বউয়ের ছ্যাঁকা, ছেলের বকা, পেটের অম্বল আর রাতের কম্বলে সীমাবদ্ধ না থেকেই  জীবনটাকে কীভাবে উপভোগ কর যায় তার মেসেজ-ই সকলকে দিল টনিক। 

 

 

আরও পড়ুন-Samantha : বক্ষ-বিভাজিকায় উষ্ণতা, ডিভোর্স-বিতর্কের পর মনোকিনি-তে শিহরণ জাগালেন সামান্থা

আরও পড়ুন-Rekha -Vinod : মৃত্যুর শেষ দিন পর্যন্ত বিনোদের মনে ছিল রেখা, স্বামীর গোপনীয়তা ফাঁস স্ত্রী কিরণের

আরও পড়ুন-Suhana Khan : 'আমাকে বিরক্ত করো না', নিজের ট্র্যাকে ফিরেই সটান জানালেন শাহরুখ কন্যা সুহানা

 

বেঙ্গল টকিজের  সিনেমা 'টনিক' (Tonic) ইতিমধ্যেই সুপারহিটের তকমা পেয়েছে।  কিংবদন্তি অভিনেতা পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Bandopadhyay) এই বয়সেও এসে বলে বলে ছক্কা মেরেছেন টনিক-এ। অন্যদিকে প্রযোজক অভিনেতা (Dev )  দেব-কেও কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। ফের যেন বাংলা ছবিকে লড়াইয়ের ময়দানে দাঁড় করাল টনিক । ছবিটির পরিচালনা করছেন অভিজিৎ সেন। এবং সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জিৎ গাঙ্গুলি। এই ছবি যেন আমাদেরই বাস্তব রূপকে তুলে ধরেছে। আমাদের জীবনে কিংবা আশেপাশে আকছার এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে । আর সেই টানাপোড়েনের গল্পকেই যেন অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছে টনিক (Tonic) । গোটা ছবিতেই ইনসুলিনের কাজ করে গেছেন অভিনেতা দেব। তবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে কম যান না তা সকলকেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। গোটা ছবি জুড়ে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশ্মা থেকে চোখ সড়ানো সম্ভব নয় কোনওভাবেই। তার প্রতিটি অ্যাক্টিভিটি মনের কোথায় গিয়ে যেন একটা ধাক্কা মেরেছে প্রতিটা দর্শককে। আর তাইতো সুপার ডুপার হিট টনিক। 

Share this article
click me!