মহালয়ার আর মাত্র কয়েকদিন। পুজো আসার আগে এই দিনটি আপামর বাঙালির কাছে অত্যন্ত আবেগের। রেডিওতে মহালয়া শোনার আবেগ যতখানি, তেমনই টিভির পর্দাতেও মহালয়া দেখতে ভালবাসে আট থেকে আশি। মহিষাসুরমর্দিনী রূপ ফুটে ওঠে টিভিতে, আবার কখনও আমাদের ভাবনায়। পুজোর আভাস ধীরে ধীরে পেতে শুরু করেছে বাঙালি। প্যান্ডেলে বাঁশ বাঁধা, পুজোর আগে ছোট ছোট প্রস্তুতি, রাস্তা ঘাটে বেড়ে যাওয়া ভিড়, এই নিয়ে ব্যস্ত থাকে সকলে। যদিও এই বছর পুজো হবে একেবারেই ভিন্ন।
অত্যন্ত ভিড় নয়, ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখা, মণ্ডপে সামাজিক দূরত্ব না মানলেই বিপত্তি। করোনা আবহের মাঝেই থাকবে পুজোর আমেজ। সেই আমেজই পেলেন দিতিপ্রিয়া। শেয়ার করলেন গত বছরের পুজোর ছবি। যেখানে ধুনচি হাতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বছরের ঠিক এই সময়টা আপামর বাঙালির কাছে বড়ই প্রিয়। সমস্ত আবেগ যেন উঠে আসে ঠিক এই সময়। প্রত্যেক বাঙালি পৃথিবীর যেকোনও কোণায় থাকুক না কেন, এই মুহূর্তে তাদের মনে কেবল একটাই অনুভূতি।
দূর্গা পুজোর এই অনুভূতি, বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ, আকাশের রঙের ভোলবদল, এগুলি কেবল এক বাঙালির পক্ষেই অনুভব করা সম্ভব। এই বছর আর পাঁচটা বছরের মত আনন্দ, উৎসবে মেতে উঠবে কিনা জানা নেই, তবে অনুভূতির কাছে হার মানায় যেকোনও ভয়। সেই অনুভূতিকেই আরও জাগিয়ে তুলতেই জি বাংলার বিশেষ প্রয়াস। 'দুর্গা সপ্তশতী সম্ভবামি যুগে যুগে'।
মহিষাসুরমর্দিনীর ভিন্ন রূপ নিয়ে প্রকাশ্যে আসবেন দিতিপ্রিয়া থেকে স্বস্তিকা সহ অন্যান্য টেলি অভিনেত্রীরা। দ্বাপর এবং কলিযুগের সংযোগ স্থলে পুনরায় শুম্ভ-নিশুম্ভ নামক দুই অসুর যখন চারিদিক ধংস করছে, তখন দেবী পার্বতী 'কৌশিকী'র রূপ নিয়ে রক্তবীজ নামক ভয়ানক অসুরকে সংহার করেন। দিতিপ্রিয়া রায় রয়েছেন এই রূপে। এছাড়াও দুর্গম অসুরের অত্যাচারে যখন পৃথিবী শেষ হয়ে যাচ্ছে তখন দেবী পার্বতী তাকে বধ করেন দূর্গা রূপে। ফের দিতিপ্রিয়াকে দেখা যাবে এই রূপে।