'কৃষ্ণকলি' ধারাবাহিকে মাম বিদায় নিতে নিতেও নিল না। অন্যদিকে ফের আলাদা হয়ে গেল শ্যামা ও নিখিল। তাদের বারে বারে আলাদা হয়ে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না অনুরাগীরা। তাদের মতে, এবার শ্যামা ও নিখিলের মিল হয়ে যাওয়া উচিত। তাদের জীবন অত্যন্ত ঝড় ঝাপটার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আর কত আলাদা থাকবে তারা। অবশেষে দর্শকের ইচ্ছাপূরণ হলে বলেই অনুমান করা যাচ্ছে। শ্যামা ও নিখিল একে অপরের কাছাকাছি এল বহু বছর পর। উনিশ বছর পর এক হাতের দূরত্বে দাঁড়িয়ে তারা। তবুও একে অপরের প্রতি নেই কোনও টান।
আর তা থাকবেই বা কীকরে। স্মৃতিশক্তি হারিয়ে শ্যামা এখন নিজেকেই চেনে না। চেনে কেবল নিজের মেয়ে কৃষ্ণাকে। সবকিছু ভুলে গিয়ে পরিস্থিতির শিকার হয়ে এখন সে মেয়েকে নিয়ে বেনারসেই থাকে। তবে ভাগ্যের জোরে নিখিল নিজের পরিবারের সঙঅগে বেনারসে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানেই ঘাটের কাছে শ্যামার সঙ্গে আলাপ হয় তার। তবে বাইরে বেশি বেরয় না বলেই শ্যামা, নিখিলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। একে অপরের চেহারাও ভাল করে দেখেনি তারা।
আরও পড়ুনঃমা গঙ্গার কাছে রাসমণির আত্মসমর্পণ, গদাধরের বিরুদ্ধে বোধ ও হরণ ঠাকুর, কী ঘটবে আগামী পর্বে
/p>
অন্যদিকে কৃষ্ণার সঙ্গে নিখিলের দেখা হলেও তারা যে সম্পর্কে বাবা ও মেয়ে, এ কথা অজানাই রয়ে গিয়েছে। নিখিলের সঙ্গে বেশ ভাল আলাপ হতেই কৃষ্ণা এবং শ্যামা যে কলকাতারই মানুষ তা জানতে পারে নিখিল। শ্যামার স্মৃতিশক্তি ফেরানোর জন্য যেচে সাহায্য করতে রাজি হয়। কৃষ্ণাও এতে বেশ উৎসাহি হতেই শ্যামা তাকে সেখান থেকে টানতে টানতে নিয়ে চলে যায়। শ্যামা নিজের মুখ ঘোমটার মধ্যেই ঢেকে রাখে, যার জেরে তাকে নিখিলের পরিবারের কেউই দেখতে পায়নি। তবে কি এত কাছে এসেও আর দেখা হবে না নিখিল ও শ্যামার। নাকি ফের অন্য মোড় নেবে 'কৃষ্ণকলি'র গল্প।