সামনেই ২০১৯ লোকসভা নির্বাচণ। প্রচারে ব্যস্ত বাংলার অন্যতম ব্যস্ততম অভিনেতা দেব। এমনই অবস্থায় পরিচালক রাজা চন্দের আগামী ছবি কিডন্যাপ-এর শ্যুটিং। মূখ্যভূমিকায় দেব। কিভাবে তাকে রাজনীতির ময়দান থেকে কিডন্যাপ করে চলত শ্যুটিং!
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এভাবেই পাল্টে গেছিল টলিউড তারকা দেবের সমীকরণ। পর্দার দেব হয়ে ওঠেন সাংসদ দেব। তবে কি দর্শক হারাতে চলেছে তাদের খোকাবাবুকে। এমনই হাজারও প্রশ্ন যখন মনের ওলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ায় তখনই দর্শক পুনরায় বড় পর্দায় ফিরে পায় দেবকে। বিগত পাঁচ বছরে ১৬টি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। নানান পরিস্থিতির চাপে এই পাঁচটি বছর কাটলেও সামনেই পুনরায় লোকসভা নির্বাচন। এমনই অবস্থায় রাজা চন্দের কিডন্যাপ ছবির নায়ক দেব।
নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত দেবকে পরিচালক কত উপায় কিডন্যাপ করতেন, তার উত্তরে কিডন্যাপ ছবির পরিচালক রাজা চন্দ হাসি মুখে জানান, দেব খুবই সচেতন, যত্নশীল ও দায়িত্ববান নিজের কাজের প্রতি। ও জানে কতটা সময় রাজনীতিতে দিতে হবে আর কতটা সময় শ্যুটিং ফ্লোরে দিতে হবে। এরজন্য করে আলাদা পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়নি কখনও। দেব নিজেই সবটা গুছিয়ে নিয়ে তৈরি থাকত সবার আগে।
অপরদিকে দেব বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করেন¸ একদিকে ছবির প্রযোজক সংস্থা যেমন এতগুলো টাকা আমার ছবির পেছনে লগ্নি করছে, তেমনই অপরদিকে কোটি কোটি মানুষের আশা ভরসা আমার ওপর। তাই দুইয়ের প্রতি আমার দায়িত্ব প্রবল। এই বয়সে আমি এত মানুষের আশির্বাদ পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
অতএব কিডন্যাপ করে কিডন্যাপের শ্যুটিং নয়, দুই ক্ষেত্রেই ব্যালন্স করার পক্ষপাতি দেবকে নিয়ে পরিচালক তথা প্রযোজকরা একপ্রকার নিশ্চিন্তেই আছেন বলা চলে। অপর দিকে ঘাটালের মানুষের কাছে কতটা আস্থা যোজাতে পেরেছেন সাংসদ তার হিসেব মিলতে বেশি দেরি নেই। তাই একদিকে যেমন ছবির প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা, তেমনই নিয়ম করে ঘাটালের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে জনসভায় উপস্থিতি, দেব খামতি রাখেননি কোথাও।