কাজের প্রতি নিষ্ঠা এসেছে দেব-এরই জন্য, জানালেন রুক্মিনী মৈত্র

  • দুবছরের অভিজ্ঞতা কেমন টলিউডে
  • দেবের প্লাস পয়েন্ট কি রুক্মিনীর মতে
  • দেবের বিপরীতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন

Jayita Chandra | Published : May 5, 2019 11:02 AM IST

২০১৭ সালে চ্যাম্প দিয়েই বাংলা চলচ্চিত্র জগতে হাতেখড়ি রুক্মিনীর। ছবি মুক্তির সময়টা ছিল ঈদ। এরপর কেটে যায় প্রায় দুটি বছর। পর পর তিনটি ছবিতেই দেবের বিপরীতে অভিনয় করা। চ্যাম্প, ককপিট, কবির। এখন ব্যস্ততা চতুর্থ ও পঞ্চম ছবিকে ঘিরে। পাসওয়ার্ড ও কিডন্যাপ। ঠিক দুইবছরের মাথায় পুনরায় ঈদে মুক্তি পেতে চলেছে দেব রুক্মিনী অভিনিত ছবি কিডন্যাপ। কেমন ছিল সেই জার্নি, একবাক্যে উত্তর দেয় রুক্মিনী-ওই যে রাজ থেকে রাজা।

এএন বাংলাঃ এই দুই বছরের অভিজ্ঞতা কেমন?

রুক্মিনীঃ এই নিয়ে আমার চতুর্থ ছবি মুক্তির অপেক্ষায়। অনেককিছু শিখেছি। নিজের ভিতর অনেক চরিত্রকে উপলব্ধি করার একটা জার্নি। অনেকটা বড় জার্নি বলব না, কিন্তু অনেক কিছু শেখার জার্নি ছিল। আমার মনে আছে, চ্যাম্পিয়নে আমি যখন জয়া করি তখন আমি ঐচরিত্রে অনেকগুলো বিষয় লক্ষ করি। যখন কৃতি(ককপিট) করি তখন ক্যাট ওয়াক ছাড়া আর কিছুই পাইনি। তেমনই যখন কবির ছবিতে জ্যাসমিনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসে, তার মধ্যে আমি অন্য মানুষকে খুঁজে পাই। প্রতি মুহুর্তে প্রতিদিন আমায় একজন অন্য মানুষ হয়ে উঠতে হয়েছে। আমি ছবি তৈরির পদ্ধতিটা খুব উপভোগ করি।

এএন বাংলাঃ কিডন্যাপেও এক ভিন্ন চরিত্র সাংবাদিক, কিভাবে তৈরি করলে নিজেকে?

রুক্মিনীঃ মেঘনা চট্টোপাধ্যায়, যে চরিত্রটা আমি তুলে ধরেছি কিডন্যাপে, একজন সাংবাদিক। অনেকদিন ধরেই তোমাদের মত সাংবাদিকদের লক্ষ করছিলাম। যখনই কোনও সাংবাদিক সন্মেলন হত দেখতাম তোমরা কি কি কর, কীভাবে কাজটা গোছাও। এভাবেই ধিরে ধিরে চরিত্র হয়ে ওঠা।

এএন বাংলাঃ বানিজ্যমূলক ছবি না বাস্তববাদী ছবি, কোনটাতে অভিনয় করাটা বেশি স্বাচ্ছন্দের?

রুক্মিনীঃ আমার মতে বানিজ্যমূলক ছবিতে অভিনয় করাটা বেশি কষ্ট সাধ্য, কারণ নিজেকে আগে বোঝাতে হয়, চরিত্রের প্রতি বিশ্বাস জন্মাতে হয়, তবেই তা দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। মরুভূমির মধ্যে নায়ক-নায়িকার রোম্যান্স, দশটা ভিলেনের মোকাবিলা এসবই তোমায় বিশ্বাস করতে হবে। যেটা নিজেকে বোঝানো সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ। প্রকৃতির বিপরীতে গিয়ে ক্যামেরায় নিজেকে সুন্দর দেখানো, মানে আমার মনে আছে যখন দুবাইয়ে শ্যুটিং-এ গেছিলাম তখন হঠ্যাৎই খুব ঠাণ্ডা পরে, তারই মধ্যে আমরা কাজ করেছি। তাই এই ধরনের ছবি যারা করে তাদের ক্রেডিট দেওয়াই উচিৎ।

এএন বাংলাঃ সুরিন্দর ফিল্মস-এ প্রথম কাজ, অভিজ্ঞতা কেমন?

রুক্মিনীঃ হম, হতে পারে এটা সুরিন্দর ফিল্ম, তবে বিপরীতে সেই দেবই তো ছিল। তাই কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। আমার মধ্যে কাজের প্রতি যেই নিষ্ঠাটা এসছে তা ওরই জন্য।

এএন বাংলাঃ দেবের সঙ্গে একই ফ্রেমে কাজ করা, অনুভুতিগুলো খুব চেনা, তাই তো?

রুক্মিনীঃ দেবের পর্দায় উপস্থিতিটা এতটা সহজে প্রভাব ফেলে যে তার বিপরীতে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। কখনও দেব তোমায় খুব কমফোটেবল পরিস্থিতিতে রাখবে, কখনও আবার উল্টোটাও করে তোমার দক্ষতা যাচাই করতে।

এএন বাংলাঃ তোমার চোখে দেবের পাঁচটি পজিটিভ দিক কি কি?

রুক্মিনীঃ আমার মতে মানসিক বল, মনোসংযোগ, নিয়মানুবর্তীতা, উপস্থিত বুদ্ধি, নতুন কিছু করার খিদে ওকে অনেকটা এগিয়ে রাখে।

এএন বাংলাঃ আর দেবের কোন কথাটা বেশি অপছন্দে তোমার কাছে?

রুক্মিনীঃ (এক গাল হেসে উত্তর) এই যে কথায় কথায় আমি নাকি খুব খাই। বলত, আমি কি সত্যি এতো খাই।

Share this article
click me!