করোনার দাপট যেন থামছে না। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। করোনার মহাসঙ্কটের মধ্যেই জুন আন্টি এবার গৃহবন্দি। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। গত বৃহস্পতিবার আচমকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সিপিএম-এর বর্ষীয়ান নেতা তথা জুন আন্টি'র বাবা শ্যামল চক্রবর্তী। তারপরের দিনই অর্থাৎ শুক্রবারই জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। সিপিএম নেতার মেয়ে অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী নিজের সোশ্যালে একথা জানিয়েছিলেন। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে তাকে তড়িঘড়ি করে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
বাবার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি উষসী। ফের সেই আশঙ্কায় সত্যি হল। এবার মারণ ভাইরাস গ্রাস করল বর্ষীয়ান নেতাকে। সম্প্রতি টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ জুন আন্টি ওরফে উষসী চক্রবর্তী নিজেই বাবার এই করোনার খবর জানিয়েছেন। বাবার সঙ্গে ছোটবেলার ছবি শেয়ার করেন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে উষসী জানিয়েছেন, 'জুন তো ভুয়ো সাংবাদিক সেজে শ্রীময়ীকে মেয়ে পাচারের অভিযোগে শাস্তি দিতে গিয়ে নিজেই পুলিশের হাতে পড়েছিল। সেই জুন আন্টির তো জেল হওয়ার কথা ছিল। তবে শ্রীময়ী তার বন্দিদশা ঘোচালেও আজ সে জেলে নয়, সে এখন কোয়ারেন্টাইনে।' তবে শুধু উষসী নন, তার গাড়ির ড্রাইভার সহ, গৃহ পরিচারকও এখন গৃহবন্দি।
আপাতত বাবার সঙ্গেও দেখা বন্ধ হয়েছে। ফোনও করে বাবার খবরাখবর নিচ্ছেন তিনি। আপাতত স্যুপ আর নুডলস খেয়েই দিন কাটছে অভিনেত্রীর। তার পাশাপাশি ফল ও ভিটামিন খাচ্ছেন।বাবার চিন্তাতে জিমও করতে পারছেন না। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটি পোস্টে জানিয়েছেন, বাবাকে দেখাশোনার জন্য একজন অ্যাটেনড্যান্ট চাই। বর্তমানে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শ্যামল চক্রবর্তী।
বাবাকে সর্বক্ষণ দেখাশোনা করার জন্য একজন লোক চাই। সেই ব্যক্তির সুরক্ষার্থে আমি পিপিই কিট-সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে দেব। কেউ যদি সাহায্য করতে পারেন তারই আবেদন জানিয়েছেন। এমনকী তিনি এও বলেছেন কোনও করোনা যোদ্ধা কি পারবেন তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে? শুধু তাই নয় কাতর আর্জি জানিয়ে কলকাতা পুলিশেরও দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেত্রী উষসী।