জীবনানন্দ দাশের কবিতা দিয়েই নববর্ষের সকাল শুরু করলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ বাংলার নতুন বছরে নতুন দিনে এর থেকে প্রাসঙ্গিক প্রার্থনা সত্যিই বোধহয় আর কিছু হয় না পয়লা বৈশাখ আসলেই পুরোনো স্মৃতিরা ভিড় করে আসে অভিনেতার কাছে সকলকে নববর্ষের প্রণাম ভালবাসা জানিয়ে অন্যরকম নববর্ষের সূচনা করলেন প্রসেনজিত
আজ বাঙালির নববর্ষ উৎসব। বিদায় ১৪২৬। নতুন বছরে করোনামুক্ত হোক ১৪২৭। আঁধার কেটে আলো আসুক সকলের জীবনে । আর এই কামনা করেই শুরু হোক নতুনকে বরণ। করোনা প্রকোপে নববর্ষে আশঙ্কার কালো মেঘ থাকলেও আমোদপ্রিয় বাঙালির এই নববর্ষের উৎসব পালনে এতটুকুও ফাঁক রাখতে নারাজ। পুরোনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে আগমনের পালা। কিন্তু এই আগমনেও বিষাদের সুর প্রত্যেকের গলায়। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কীরকম এই নববর্ষটা।
'আমাদের দেখা হোক মহামারী শেষে, আমাদের দেখা হোক জিতে ফিরে এসে' -জীবনানন্দ দাশের এই কবিতা দিয়েই নববর্ষের সকাল শুরু করলেন অভিনেতা। বাংলার নতুন বছরে নতুন দিনে এর থেকে প্রাসঙ্গিক প্রার্থনা সত্যিই বোধহয় আর কিছু হয় না। সকলকে নববর্ষের প্রণাম ভালবাসা, জানিয়ে অন্যরকম নববর্ষের সূচনা করলেন প্রসেনজিত।
অভিনেতা বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পয়লা বৈশাখ আসলেই পুরোনো স্মৃতিরা ভিড় করে আসে। কিন্তু আজ নেই সেইসব। কোনওদিনও ভাবিনি নতুন বছরের প্রথম দিনটা এভাবে কাটাতে হবে। আর করোনাই হল সুপারহিরো। করোনাই বুঝিয়ে দিল টাকা, ক্ষমতা কিচ্ছু না, ওগুলো সবই নিমিত্ত মাত্র। সারা বিশ্বে দুজনই আসল ক্ষমতার মালিক একজন ঈশ্বর আর অন্যজন প্রকৃতি। তারাই হাতে আবদ্ধ গোটা জগৎ।
প্রত্যেক বছর খুব ধুমধাম করেই এই দিনটি পালন করা হয়। কিন্তু করোনার জেরে বিপর্স্ত হয়েছে গোটা জনজীবন। মনেই হচ্ছে না আজ পয়লা বৈশাখ। বাঙালির সেই ভুরিভোজ, আমোদপ্রমোদ কোনওটাই যেন আসছে না অভিনেতার ভিতর থেকে। শুধু পুরোনো স্মৃতির পাতায় চোখ বোলাচ্ছেন অভিনেতা। কতই না ভাল ছিলে সেই দিনগুলো। কিন্তু এটাই কঠিন বাস্তব। এটাই নির্মম সত্য। এই বছর যদি সব সহ্য করে ঠিকমতো নিয়ম মেনে কাটিয়ে দিতে পারা যায় তাহলে আগামী নববর্ষে সূচনা হবে এক নয়া অধ্যায়ের নতুন জীবনের। এই মহামারী সকলকে শিখিয়ে দিল জীবনের নয়া পাঠ। এই বৈশাখই মানুষের মনের বিশ্বাসকে জাগ্রত করে তুলল। এইবার সামলে নিলেই আগামী বৈশাখে নতুন জামা, আনন্দের হাসি, বৈশাখের হাওয়া, জীবনের নয়া আলো সব কিছুই আবারও সেজে উঠবে নবরূপে