ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন সকাল সকালই বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র প্রকাশ্যে এনেছিলেন হবু বর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যা দেখা মাত্রই চক্ষু ছানাবড়া হয়েছিল নেটিজেনদের। এবার বিয়ের তারিখ পাঁকা হয়ে গেল। 'প্রাক্তন' ছবি দিয়েই প্রায় দেড় দশক বাদে বড়পর্দায় কামব্যাক করেছিল টলিপাড়ার এই হিট জুটি। আপতত প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার বিয়ে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।
ফের বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে টলিউডে। তবে এ যেমন তেমন বিয়ে, এবার টলি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাটছড়া বাঁধছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। খবরটা শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠলেও এটাই সত্যি। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনেই সুখবর দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা। বাঙালির ভ্যালেন্টাইন শুরু হয় সরস্বতী পুজো দিয়ে আর শেষ হয় ভ্যালেন্টাইন ডে দিয়ে। সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় ভ্যালেন্টাইন -এর আমেজ। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন সকাল সকালই বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র প্রকাশ্যে এনেছিলেন হবু বর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যা দেখা মাত্রই চক্ষু ছানাবড়া হয়েছিল নেটিজেনদের। এবার বিয়ের তারিখ পাঁকা হয়ে গেল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋতু ঋতু বলে ডেকেই চলেছেন প্রসেনজিৎ। আর সেই ডাক শুনেই ছুটে এলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এসেই সটান প্রশ্ন করলেন, কীসের এত চেঁচামিচি। প্রসেনজিতও ঋতুকে বলেন, আরে চেঁচামিচি নয়, এবার বিয়ের দিনটা ঠিক করা উচিত। এই কথা শুনে রীতিমতো অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন নায়িকা। পাল্টা বলেন, কী আজেবাজে বকছ। ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে গেছে, আর তুমি বলছ বিয়ের তারিখ। তারপরই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন বুম্বা দা। প্রসেনজিৎ বলেন, আরে আমাদের বিয়ের কথা থোড়াই হচ্ছে । এতো... । তারপরেই ভিডিওটি আটকে যায়। প্রথমে ভিডিওটা দেখলে প্রযুক্তিগত গোলযোগ বলে মনে হলেও পরে বোঝা যায় গোটা ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত। আসলে নতুন চমক দেওয়ার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। ভিডিওর শেষে বেজে উঠেছে মিউজিক এবং ভেসে উঠেছে প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা। খুব শীঘ্রই যে বিয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে চলেছে তার ইঙ্গিতও ফুটে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন বিয়ের ডিজিট্যাল কার্ড পোস্ট করেছিলেন টলি সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যেখানে লেখা রয়েছে, সবিনয় নিবেদন, মহাশয়, মহাশয়া বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে আমরা একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করার পরে নতুনভাবে আপনাদের সামনে আসতে চলেছি। প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা। সমস্ত গুরুজনদের আশীর্বাদ আর ভালবাসা নিয়ে আগামীদিনের পথচলা শুরু করতে চাই। পাকা দেখা থেকে বিয়ের পুরো দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সম্রাট শর্মা ও তার টিম হাট্টিমাটিম। এবং বিয়ের ঘটকালির দায়িত্বে রয়েছেন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। এবং তত্ত্বাবধানে রয়েছেন মোহর ও শর্মিষ্ঠা। ডিজিটাল নিমন্ত্রণ পত্রের জন্য ত্রুটি মার্জনীয়। বিনীত ও বিনীতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এখানেই শেষ নয়, বিয়ে সংক্রান্ত যে কোন তথ্যের জন্য কোনরকম লজ্জা না পেয়ে ফোন করুন মোহর ও শর্মিষ্ঠাকে।
প্রসেনজিতের পোস্ট করা ডিজিটাল কার্ড দেখে সকলেরই চোখ কপালে উঠেছিল। প্রেমদিবসের দিন বুম্বা দার থেকে অভিনব সারপ্রাইজ পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত অনুরাগীরা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ম্যানেজার হলেন মোহর। এবং দীর্ঘদিন ধরে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর টিমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিয়ের ঘটকালি করছেন বুম্বাদার বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। সেটাও খোলসা করে জানিয়েছেন স্বয়ং প্রসেনজিৎ। তবে আসল বিষয়টা কী তা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে রূপোলি পর্দায় ফের একসঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন 'প্রাক্তন' জুটি। নিজেদের আপকামিং ছবির ঘোষণাই অভিনব পদ্ধতিতে ঘোষণা করেছিলেন অভিনেতা। ছবির পরিচালক সম্রাট শর্মা। তবে ছবির বিষয় নিয়ে কিংবা ছবির শুটিং ডেট নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি, আপতত বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণা। 'প্রাক্তন' ছবি দিয়েই প্রায় দেড় দশক বাদে বড়পর্দায় কামব্যাক করেছিল টলিপাড়ার এই হিট জুটি। আপতত প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণার বিয়ে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।