ভিডিওতে তাকে জর্জের গলার উপর হাঁটু গেড়ে চেপে বসেছিল। সেখান থেকেই শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয় জর্জের। এমনটাই দেখা গিয়েছে ভিডিওতে। দিন পাঁচেক আগের এই ঘটনা নিয়ে এখন উত্তাল আমেরিকা। করোনা প্রকোপের মধ্যেই চারিদিকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। আগুন জ্বালিয়ে, মিছিলই এখন প্রতিবাদের ভাষা। দিনের আলোয় পুলিশের গাড়ির সামনে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডকে মেরে ফেলা হল। রাস্তার লোকজন কেবল ফ্যাল ফ্যাল করে তামাশা দেখল। রেকর্ডও করল সেই নৃশংস দৃশ্য। মিলিপলিসের এক পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনছে নেটিজেনরা।
আরও পড়ুনঃপ্রস্থেটিকই কাল, ছবির অসফলতার পিছনে খারাপ মেকআপ কি দায়ি
এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঝড় তুললেন রফিয়ত রসিদ মিথিলা। কেবল একটি কালো ছবি শেয়ার করেছেন মিথিলা। হ্যাশট্যাগে দিয়েছেন গায়ের রং কালো হলেও ওরা মানুষ ওদেরও বাঁচার অধিকার আছে। জর্জ ফ্লয়েডের খুনের বিচার চাই। আর পাঁচজন নেটিজেন এবং মার্কিন মুলুকের সাধারণ মানুষের মত মিথিলার সুরেও প্রতিবাদের ঝড়। আজ যে কান্ড মার্কিন মুলুকে ঘুটেছে তা অন্য কোনও দেশে ঘটতেও বেশি সময় লাগবে না। মানুষকে বর্ণ বৈষম্যতা, ধর্মবিভেদ ভুলে এগিয়ে যেতে হবে। আগুন জ্বলছে আমেরিকায়। ভারতেরও অসংখ্য মানুষের বুকে আগুন জ্বলছে ঘটনাটির পর থেকে।
আরও পড়ুনঃ'নোবেলকে নিয়ে শো-তে বড্ড বেশি মাতামাতি হয়', প্রথম থেকেই কি তাহলে নোবেলকে অপছন্দ বিশ্বজিতার
মিথিলার মতই সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যান্য তারকারাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন একটি পোস্টে। বর্ণ বৈষম্যই ছিল এই দুর্ঘটনার পিছনে প্রধান কারণ। বর্ণ বৈষম্যের নানা উদাহরণ, ঘটনা আগেও আমেরিকায় দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এবারে যেন সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গেল। মৃত্যুর ঠিক আগে জর্জের শেষ শব্দগুলি ছিল, 'আমি নিঃশ্বাস নিতে বারছি না।' এই শব্দগুলি যেন গায়ে কাঁটা দিচ্ছে সকলের। প্রিয়াঙ্কা নিজেও বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ছোটবেলায়। ছোটবেলায় বেশ কিছুটা সময় বিদেশে কাটিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। সেই সময় একাধিকবার বর্ণ বৈষম্যের শিকার হন।