টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর পোস্টে ফের আগুন ধরল নেটদুনিয়ায়। একটি ফোটোশ্যুটের ছবি শেয়ার করেছেন ঋতাভরী যা নিমেষে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাল পোশাকে ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। লাল রঙের গাউনে সেজে উঠেছেন অভিনেত্রী। রেড কার্পেট লুক, লাল লিপস্টিকে হটনেস নিয়ে ক্যামেরার দিকে হালকা ঘুরে তাকিয়েছেন ঋতাভরীর। ব্যস! এক লুকেই কুপোকাত নেটিজেনরা। সম্প্রতি একটি ছোটবেলার ছবিও শেয়ার করেছিলেন ঋতাভরী।
আরও পড়ুনঃবলিউডে তৈমুর, টলিউডে যুবান, একদিনের মাথায় তৈরি হল 'রাজশ্রী'র ছেলের ফ্যানপেজ
ঋতাভরীর কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। ঋতাভরী সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রায় সমস্ত আপডেটই দিতে থাকেন। নিত্যদিন নতুন কিছু পোস্ট করে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করেন। তিনি কেবল নিজের আপডেটই নয়, তাঁর ফলোয়াড়রা এই লকডাউনে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন তা জানার জন্য সম্পূর্ণভাবে আগ্রহী তিনি। তাই নিজের কাজকর্মের সঙ্গে ভক্তদের সঙ্গেও কমেন্ট সেকশনে আড্ডা দেন অভিনেত্রী। লকডাউনে থ্রোব্যাকের ট্রেন্ডে গা ভাসালেন তিনিও। স্কুলজীবনের একটি ক্যানডিড ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃলেহেঙ্গায় উষ্ণতা ছড়ালেন সায়ন্তনী, ভারতীয় পোশাকে ক্লিভেজ আনল আধুনিকতার ছোঁয়া
যেখানে তাঁকে চেনা তো দূরের বিষয় খুঁজে বের করতেও সময় লাগছে। ছিপছিপে চেহারা, স্কুল ইউনিফর্মে ঋতাভরী। যার সঙ্গে এখনকার ঋতাভরীর কোনও মিলই নেই। লকডাউনে ছবি ভিডিও পোস্ট করা ছাড়াও আরও একটি বিষয় নিয়ে ভক্তদের মনোরঞ্জন করছেন তিনি। তা হল মিনিয়েচার আর্ট। একটি বিশেষ ধরণের ফর্ম অফ আর্ট যা ছোট ছোট জিনিস দিয়ে ক্রাফ্টের মত তৈরি করতে হয়। অভিনয়ের মতই এই মিনিয়েচার আর্টও ঋতাভরীর খুব পছন্দের। বহুদিন ধরেই শিখেছেন এই মিনিয়েচারের কাজ।
আরও পড়ুনঃস্ট্রিট ফোটোগ্রাফিতেই বাজিমাত দর্শনার, গ্ল্যামার চুঁইয়ে পড়ছে অভিনেত্রীর ভিডিওতে
আরও পড়ুনঃশিফন শাড়িতে মধুমিতার ভরা যৌবন, নায়িকার চাউনিতে ক্রাস খেল অসংখ্য পুরুষ
কেবল কোয়ারেন্টাইনের সময়েই নয়, সময় সুযোগ পেলেই বসে পড়েন ক্ষুদে ক্ষুদে জিনিসপত্র নিয়ে। ঋতাভরীর এই মিনিয়েচার আর্ট দেখে অনুপ্রাণনিত হয়ে তাঁর বহু ভক্তরাও শুরু করেছেন এই কাজ। বিদেশে গিয়েও তিনি এই মিনিয়েচার মিউজিয়ামে ঘুরে এসেছেন। তার ভ্লগও তৈরি করেছিলেন ঋতাভরী। মিনিয়েচারের কাজ ছাড়াও বই পড়তে বড়োই ভালবাসেন তিনি। নিজেকে আস্ত বইপোকা হিসেবেও পরিচয় দেন মাঝে মধ্যে। কোয়ারেন্টাইনে বই পড়ে সময় কাটানো গেলে আর কিছুর দরকার হয় না বলেই মনে করেন তিনি।