৪০ দিনের টানা লড়াই। অবশেষে চিরজীবনের মত বিদায় নিলেন ফেলু মিত্তির। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। কেবল বাংলা চলচ্চিত্র জগতেই নয়, বলিউডেও শোকপ্রকাশ করে চলেছে তারকারা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিষয় যতই বলা হয়, ততই কম। কিংবদন্তিদের কখনও মৃত্যু হয় না। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সকলের মুখে মুখে এই একই কথা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই তিনি সকলের মধ্যে জীবিত থাকবেন অপু, উদয়ন পন্ডিত, ফেলুদা, গঙ্গাচরণ হয়ে। বিশ্বজুড়ে বাঙালি সহ সিনেপ্রেমীরা তাঁকে মনে রাখবে এইভাবেই।
ইতিমধ্যেই স্মৃতিচারণা করতে করতেই একাধিক তারকার মুখ থেকে উঠে আসছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নানা ঘটনা। সেই স্মৃতির পাতায় ভেসে উঠল এক পুরনো সাক্ষাৎকার। অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর সেই সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার। যা তাঁর কাছে অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা হিসেবেই রয়ে যাবে সারাজীবন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার ফিডে তুলে ধরলেন সেই পুরনো ভিডিও। যেখানে খুব কাছ থেকে চিনেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। যেখানে তাঁর প্রতিটি শব্দে মুগ্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই সাক্ষাৎকারকে অবশ্য ঋতাভরী, সাক্ষাৎকার কম, ডেট হিসেবেই চিহ্নিত করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃভাইফোঁটার উৎসবে মেতেছেন তৃণা, ফিরে গেলেন নিজের ছেলেবেলার দিনগুলিতে
কারণ ডেট মানেই যে একই বয়সী দু'জন প্রেমালাপের জন্য দেখা করছে এখানে ঠিক তেমন ঘটেনি। ডেট বলতে এখানে তিনি বুঝিয়েছেন, নিজের পছন্দের মানুষগুলির মধ্যে একজনকে খুব কাছ থেকে জানার চেষ্টা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে অভিনেতা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ মানুষরূপে চিনতে চেষ্টা করেছিলেন ঋতাভরী। প্রশ্নের তালিকা প্রস্তুত থাকলেও সৌমিত্রের কথায় মগ্ন হয়ে স্বাভাবিকভাবে ভেসে গিয়েছেন এক অন্য পৃথিবীতে। সেই ভুবন ভোলানো হাসি মুগ্ধ করেছেন সকলকে। ভবিষ্যতেও করে যাবে।