তরুণ মজুমদারের অসুস্থতার খবর পেয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জানালেন, মনটা খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে আছে অভিনেত্রীর। খুবই চিন্তায় রয়েছেন,কন্যাসম স্নেহ পেয়েছেন পরিচালকের কাছ থেকে।
প্রখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হয়েছে, যিনি মঙ্গলবার শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে, হাসপাতালের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছন।মজুমদার (৯২) কিডনি এবং হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন এবং কয়েকদিন আগে তিনি অস্বস্তির অভিযোগ করার পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তারা বলেছে।চিকিৎসকের মতে, 'মিঃ মজুমদারের অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছে যার পরে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।'
আরও পড়ুন,শিমারি-শর্ট ড্রেসে অসম্ভব সেক্সী জাহ্নবী, চোখ ফেরাতে পারবেন না গ্যারান্টি!
আরও পড়ুন,যোগা না করে বাড়ির বাইরে পা দেন না এই সাত জন অভিনেত্রী!
সম্প্রতি এই বর্ষীয়ান পরিচালকের স্বাস্থ্য বিষয় উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আলো, ভালোবাসার বাড়ি ও চাঁদের বাড়ির মতন ছবি তে অভিনয় করেছেন তিনি। পরিচালক খুবই স্নেহ করেন তাঁকে, এডজন ঋতুপর্ণা বলেন, 'খবর টা আমি পেয়েছি, খুবই দুশ্চিন্তায় আছি, উনি আমাকে কন্যাসম স্নেহ করেন। মনটা খুবই ভারাক্রান্ত হয়ে আছে কারন ওনার সাথে আমার প্রথম ছবি আলো, সেটা একটা বড় জায়গা তৈরি করেছে।' ঋতুপর্ণা আরও জানান, বাঙালির ইতিহাসে একটি ল্যান্ডমার্ক ছবি আলো, 'আমি ওনার সাথে চাঁদের বাড়ি করেছি যেটি আরেকটি স্তম্ভ, এবনভ সম্প্রতি 'ভালোবাসার বাড়ি' ছবি তে কাজ করেছি'। অভিনেত্রী আরও জানান যে, খুবই এনার্জিটিক একজন মানুষ তিনি, সারাদিন শ্যুটিং করে সবাই ক্লান্ত বোধ করলেও তরুণ বাবু কখনোই এত সহজে ক্লান্ত বোধ করতেন না।
ঋতুপর্ণা আরও জানান, তরুণ বাবুর অবদান বাংলা সিনেমায় অসামান্য।তাঁর অসুস্থতায় খুবই চিন্তিত রয়েছেন তিনি, ঋতুপর্ণা এও বলেন যে তিনি ফোন করেছিলেন খোঁজ নেয়ার জন্য, এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন তরুণ বাবু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবারও যেন শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরে আসেন, তাঁর সাথে এখনও অনেক টা কাজ বাকি অভিনেত্রির।
চিকিৎসকদের একটি দল তাকে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তারা। মজুমদার, যিনি ১৯৯০ সালে 'পদ্মশ্রী' পেয়েছিলেন, তাঁর কৃতিত্বের জন্য পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে 'স্মৃতি টুকু থাক' (১৯৬০), 'পলাতক' (১৯৬৩) এবং 'গণদেবতা' (১৯৭৮)।তিনি বালিকা বধু (১৯৭৬), কুহেলি (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭২) এবং দাদার কীর্তি (১৯৮০) এর মতো ব্লকবাস্টারগুলিও পরিচালনা করেছিলেন।ঋতুপর্ণা সহ গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি উদ্বিগ্ন হয়ে আছে পরিচালকের শারীরিক অসুস্থতার খবরে, সকলেই প্রার্থনা করছেন যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবার শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরে আসুন তাঁদের শ্রদ্ধেয় পরিচালক।