গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। এসএসকেএম হাসপাতালের আই সি ইউ তে ভর্তি রয়েছেন তিনি।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। এসএসকেএম হাসপাতালের আই সি ইউ তে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তবে সুখবর, এই মুহূর্তে খানিকটা স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। তার কিডনির সমস্যার সঙ্গে, হার্ট ফেলিওরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তারপরই এসএসকেএমের সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল তাকে।
ইতিমধ্যেই তার কোভিড পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তার কোভিড রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রবীণ এই পরিচালক একাধিক গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন। তার কিডনির সমস্যা রয়েছে প্রায় ২০০০ সাল থেকে। বর্তমানে ক্যাথিটারে প্রস্রাব করাতে হচ্ছে তাকে। ফুসফুসেও সমস্যা হচ্ছে বর্ষীয়ান পরিচালকের। শ্বাসকষ্টতেও ভুগছেন তিনি। ২১ জুন পরিচালকের কোভিড রিপোর্ট আসবার কথা। আসলে গত সপ্তাহে মূলত কিডনি জনিত সমস্যার কারণে এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু হঠাৎ তার হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়।পাঁচ জন বিশেষজ্ঞের একটি চিকিৎসকের দল সর্বদা পর্যবেক্ষণে রাখছেন তাকে। সেই দলে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু এবং মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ।
যুগ যুগ জিওর প্রচারে শহরে আসলেন বরুণ কিয়ারা, দিলেন সম্পর্ক ভালো রাখার টিপস
'আমি ইন্ডাস্ট্রি এই ফর্মূলা এখন আর কাজ করে না', তীব্র কটাক্ষের বান ছুঁড়লেন রানা সরকার
বর এবং মেয়েকে ম্যাচিং স্নিকার্স উপহার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার, দেখে নিন ছবি
কেমিস্ট্রির ছাত্র তরুণ মজুমদারের ঝোঁক ছিল চলচ্চিত্র তৈরিতে। তিনি, শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায় তিন জন একসঙ্গে ‘যাত্রিক’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন। তাদের তিন জনের পরিচালনায় প্রথম সিনেমা ‘চাওয়া পাওয়া’। চাওয়া পাওয়াতে অভিনয় করেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত জুটি উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন। এরপর ‘যাত্রিক’-এর পরিচালনাতে তৈরি হয় জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি 'কাঁচের স্বর্গ’। এরপর ১৯৬৫ সালে ‘যাত্রিক’ থেকে আলাদা হয়ে যান তরুণ মজুমদার। এরপর ১৯৬৫ তেই ‘আলোর পিপাসা’ এবং ‘একটুকু ভালবাসা’ নামের দু’টি সিনেমা তার একার পরিচালনায় তৈরি করেন তিনি। তারপর থেকেই একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন পরিচালক। সেই তালিকায় রয়েছে ‘বালিকা বধূ’, ‘কুহেলি’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘গণদেবতা’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’র মতো সিনেমা। তরুণ মজুমদার এমন একজন পরিচালক যিনি নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৮ সালে নির্মিত 'ভালোবাসার বাড়ি' তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি। তিনি মোট চারটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। সাতটি বিএফজিএ এবং পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।
অনুরাগীদের প্রার্থনা খুব শিগগিরিই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুন পরিচালক।