মিঠাই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা এখন আকাশ ছোঁয়া। আর এই সিরিয়ালের হাত ধরে এখন ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ,সিড, মিঠাই, দিদিয়া, নীপা-দের মতো চরিত্রগুলো। সম্প্রতি রুদ্র ও নিপার বিয়ে নিয়ে খুশিতে মেতেছে মোদক পরিবার, কিন্তু সেখানেও এক বড় সর সমস্যা এসে হাজির, রুদ্র ও নিপার কি শেষ পর্যন্ত বিয়ে হলো? জানতে হলে পুরো টা পড়ুন।
মিঠাই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা এখন আকাশ ছোঁয়া। আর এই সিরিয়ালের হাত ধরে এখন ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ,সিড, মিঠাই, দিদিয়া, নীপা-দের মতো চরিত্রগুলো। সম্প্রতি রুদ্র ও নিপার বিয়ে নিয়ে খুশিতে মেতেছে মোদক পরিবার, কিন্তু সেখানেও এক বড় সর সমস্যা এসে হাজির, রুদ্র ও নিপার কি শেষ পর্যন্ত বিয়ে হলো? জানতে হলে পুরো টা পড়ুন।
সম্প্রতি মিঠাই- নিপা ও রুদ্রর বিয়ে কে কেন্দ্র করে খুশির জোয়ার বইছে মোদক পরিবারে।পরিবারের সবাই মোদক পরিবারের ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে মেতে উঠেছে। বিয়ের দিন সকাল থেকে শুরু হয়েছে তোড়জোড়, রুদ্র বাবু কিন্তু যথা সময়ে ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে বরের সাজে তৈরি রুদ্র, পুরোহিত মশাইও তৈরি,কিন্তু কনের দেখা নেই, রুদ্র ফোন করে জানতে পারে নিপা তখনো সাজতে ব্যস্ত। সে নাকি চার ঘণ্টা ধরে শুধু সেজেই যাচ্ছে। অগত্যা কনের জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে পাত্র এবং পুরোহিত মশাই। পুরোহিত মশাই পাত্রকে বলেন যে বিয়ের লগ্ন পার হতে আর বেশি সময় নেই, এমন সময় হঠাৎ রুদ্রর কাছে ফোন আসে, কদমতলায় এক গোডাউনে নাকি কুখ্যাত দিলীপ গুন্ডা লুকিয়ে রয়েছে, খবর পেয়েই পুলিশ অফিসার রুদ্র তাঁর কনস্টেবল কে বলেন তিনি এখনই সেখানে আসছেন। এই বলে রুদ্র পুরোহিত মশাইকে বলেন অপেক্ষা করতে, তিনি একটা এমার্জেন্সিতে যাচ্ছেন, কাজ শেষ করে ফিরে আসবেন, কিন্তু পাত্রের মুখে এই কথা শুনে হতবাক হয়ে যায় পুরোহিত এবং সে সব তা বুঝতে পেরে রুদ্রকে নিষেধ করেন এ সময় অন্য কোথাও না যেতে, কারন বেশি দেরি করলে বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু রুদ্র একজন সৎ ও দায়িত্ববান পুলিশ অফিসার, তিনি জানান তাঁর কাছে তাঁর ডিউটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই তিনি পুরোহিত কে অপেক্ষা করতে বলেন তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন আশ্বাস দিয়ে।
এদিকে, কনে ও পাত্রীপক্ষ সেজেগুজে হাজির কিন্তু গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা পুরোহিত মশাই বাদে আর কাউকে দেখতে পায়না, বর কোথায় জিজ্ঞেস করাতে পুরোহিত মশাই সমস্তটা খুলে বলেন, তখন নিপা ও মোদক পরিবারের মাথায় হাত, হাতে আর বেশি সময় নেই দেরি হলে লগ্ন পেরিয়ে যেতে পারে, অথচ বরই নেই, তাহলে বিয়ে হবে কিভাবে অনেক ভেবে শেষে মিঠাই ও নিপার পরামর্শ মত ঠিক হয় যে তাঁরাও ওই গুদামে যাবেন যেখানে রুদ্র অভিযানে গিয়েছেন। সুতরাং তারাও সেখানে গিয়ে হাজির হন, এদিকে গুদামের ভিতরে জোর কদমে লড়াই চলছে দিলু গুন্ডা ও রুদ্রর মধ্যে, রুদ্র তাঁকে বারবার আত্মসমর্পণ করার জন্য হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, কিন্তু কুখ্যাত মস্তান দিলু গুন্ডা কিছুতেই দমবার পাত্র নন, তিনিও বলেন যে তিনি আত্মসমর্পণ তখনই করবেন যখন রুদ্র তাঁর হাতের বন্ধুকটি মাটিতে নামিয়ে রাখবেন, কথা মত রাজি হয়ে যায় রুদ্র এবং সে বন্দুক মাটিতে নামিয়ে রাখার সঙ্গে সঙ্গেই দিলু তাঁকে পিছন থেকে আক্রমন করার চেষ্টা করে, কিন্তু রুদ্রর তৎপরতায় সে ব্যর্থ হয়, রুদ্রর এক ঘুষিতে উল্টে পড়ে সে, দুজনের মধ্যে চলতে থাকে মারপিট, এদিকে নিপা এবং মিঠাই, উচ্ছে বাবু, দিদিয়ারা সকলে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছে রুদ্রর বেরিয়ে আসার, কিন্তু কতক্ষন আর অপেক্ষা করা যায়? লগ্ন তো পেরোতে চললো, কাজেই মুশকিল আসান হয়ে নিপা বলে সেও পুলিশ অফিসারের স্ত্রী, সেও দমবার পাত্রী নয়, ওই গোলা-গুলির মধ্যেই সে বিয়ে করে ছাড়বে। কথা শুনে বাকিদের ভিরমি খাবার যোগার, পুরোহিতমশাই বলে ওঠেন তাঁকে এসবের মধ্যে না জড়াতে তাঁকে যেন দক্ষিনা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়, কিন্তু তাঁকে এক ধমকে চুপ করিয়ে দেন সকলে। ইতিমধ্যেই দিলু গুন্ডাকে কাবু করে ফেলেছেন রুদ্র, তাঁর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রুদ্র বলেন, 'দিলু গুন্ডা ইউ আর আন্ডার অ্যরেস্ট' , চারদিক থেকে রুদ্রর পুলিশ ফোর্স ঘিরে ফেলে তাঁকে। কি হয় এরপর রুদ্র ও নিপার বিয়ে কি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হবে? সেটা জানতে হলে অবশ্যই জিবাংলার পর্দায় চোখ রাখতে হবে।