Salil Chowdhury- একজন মিউজিক কম্পোজারই নন, সলিল চৌধুরী একজন রাজনীতিবিদ, থিয়েটর ব্যক্তিত্বও বটে

১৯৪৩ সাল, বাংলা তখনও নিজের খোলস সম্পূর্ণ রূপে খোলেনি, তিনি বিশ্বের দরবারে একজন কমিউনিস্ট, পাশাপাশি ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটর এসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে স্টিট থিয়েটর করে লড়াই চালাচ্ছেন। 

Jayita Chandra | Published : Nov 19, 2021 8:38 AM IST / Updated: Nov 19 2021, 02:23 PM IST

ভারতের ইতিহাস এমন বহু নাম রয়েছে, যাঁদের সঙ্গীত জগতের সফর আজও স্বর্ণক্ষরে খোচিত। হেমন্ত কুমার (Hemanta Kumar) থেকে শুরু করে, শঙ্কর জয়কৃষ্ণনন, কল্যানজি আনন্দজি, লক্ষ্মীকান্ত পেয়ারে লাল, সঙ্গে সলিল চৌধুরী (Salil Chawdhury) তো রয়েছেনই। তবে কেবল সঙ্গীত কম্পোজার হিসেবেই নন, তিনি একজন লেখক, থিয়েটার অভিনেতা, একজন রাজনীতিবিদ (Politian) । গাজিপুরের একটি গ্রামে সলিল চৌধুরী জন্মগ্রহ করেন ১৯২৫ সালে ১৯ নভেম্বর। ২৪ পরগনার এই গ্রামেই তাঁর বেড়ে ওঠা। তার পিতা ছিলেন ডাক্তার, কিন্তু পেশা ডাক্তারি হলেও, তাঁর সংরক্ষণে ছিল বহু গানের রেকর্ড, তা শুনে শুনেই বেড়ে ওঠা সলিল চৌধুরীর। পাশাপাশি ছোটবেলার আসামে বেশ কিছুটা সময় কাটানোর ফলে বাংলা ও অসমীয়া ভাষায় গান ও গানের কালচার নিয়েও তিনি চর্চা করতেন। 

১৯৪৩ সাল, বাংলা তখনই নিজের খোলস সম্পূর্ণ রূপে খোলেনি, তখনই তিনি বিশ্বের দরবারে একজন কমিউনিস্ট, পাশাপাশি ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটর (Indian People’s Theatre Association ) এসোসিয়েশন-এর পক্ষ থেকে স্টিট থিয়েটর করে বেড়াচ্ছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, যুবক বয়সে তিনি সক্রিয়ভাবে ছাত্র আনন্দলনে সামিল হতেন। কৃযক আন্দলনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গান বেঁধেছিলেন কঠিন সময় নিয়ে। ১৯৪৪ সালে ভয়ানক পরিস্থিতির সাক্ষীও ছিলেন। আর ঠিক সেই কারণেই তিনি থিয়েটরে যোগ দিয়েছিলেন। সুন্দরবনে গা ঢাকা দিয়ে দিনের পর দিন কেটেছে তাঁর। সেখানে বসেও তিনি একের পর এক গান বেঁধেছেন। 

এরপর শুরু হয় নয়া অধ্যায়, ১৯৪৯ সালে তিনি পরিবর্তন ছবির মধ্যে দিয়ে সিনে দুনিয়ায় পা রাখেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ইন্টাস্ট্রিতে নাম করে ফেলেছিলেন এই কিংবদন্তি পরিচালক। পাশের বাড়ি যা হিন্দিতে পরসন ও বড়যাত্রী-র মধ্যে দিয়ে তিনি লাইম লাইটে আসেন। হিন্দি সিনে জগতে পা রেখে তিনি সাফ করেছিলেন নিজের অবস্থান। জানিয়েছিলেন বাংলা ছবির জন্য চিত্রনাট্য লিখি, কৃষকদের নিয়ে, উদ্বাস্তুদের নিয়ে, হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সেই চিত্রনাট্য পছন্দ হয়, তিনি জানিয়েছিলেন বিমল রায়কে সলিল চৌধুরীর বিষয়, সেখান থেকেই তৈরি হয় জমিন্দার, ১৯৫৩ সালে। এছাড়াও সঙ্গীতের সফর তো রয়েছেই। ৭৫ টি হিন্দি ছবির সাউন্ড ট্র্যাক, ৪৫ টি বাংলা ছবির মিউজিক, ২৬টি মালায়ালম ছবি ও ১০ টি অন্যান্য ভাষার ছবিতে কাজ করেছিলেন তিনি। 

   আরও পড়ুন- Kiara Advani- ৫২ হাজার টাকার পোশাক, কোন ব্রান্ডের টপ পরে ভাইরাল কিয়ারা

আরও পড়ুন- Kajol-Ajay Relationship- লাভগুরু হয়ে উঠল প্রেমিক, কাজলের অজয়ের সম্পর্কের শুরুতেই টুইস্ট

আরও পড়ুন- Shraddha Kapoor- রবিবার হলেই এই কাণ্ড ঘটান শ্রদ্ধা, ভিডিও শেয়ার করে ফাঁস করলেন নিজেই

   

Share this article
click me!