‘সোশ্যালে অনশনরত চাকরীপ্রার্থীদের কথা কই? এখন শুধুই নিজের কথা বলবেন!’ ক্ষিপ্ত শ্রীলেখা

Published : Oct 21, 2022, 02:04 PM IST
 ‘সোশ্যালে অনশনরত চাকরীপ্রার্থীদের কথা কই? এখন শুধুই নিজের কথা বলবেন!’ ক্ষিপ্ত শ্রীলেখা

সংক্ষিপ্ত

শ্রীলেখার মতে, ‘শুক্রবারের সকাল একেবারেই শুভ নয়। আজকের দিনটা অন্তত নিজের কাজ, বেড়াতে যাওয়ার সেলফি পোস্ট না করে বৃহস্পতিবারের ঘটনা সংক্রান্ত পোস্ট করুন। তা হলেও আমরা কিছু ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারব।’

শুক্রবার ফেসবুক পাতায় ক্ষোভ উগরে দিলেন শ্রীলেখা মিত্র। সমর্থন জানালেন চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের। শুক্রবার ফের আন্দোলনকারীদের অবস্থানে নতুন করে উত্তাল বিধাননগরের করুণাময়ী। তখনই সামাজিক পাতায় সরব শ্রীলেখাও। তাঁর দাবি, ‘‘এ বার নিজের কথা ভুলে বাংলার চাকরি চেয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর সময় হয়েছে। নিজের কাজের ছবি না দিয়ে তাঁদের সমর্থন জানানোর এটাই উপযুক্ত সময়।’’ তার পরেই প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেত্রীর অনুযোগ, যাঁরা এখনও সেই পদক্ষেপ নিতে পারছেন না, তাঁরা যেন তাঁদের বন্ধুত্বের তালিকা থেকে শ্রীলেখখাকে বাদ দেন!

বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিধাননগর করুণাময়ী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিবাদে প্রায় রণক্ষেত্র। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ওই দিন রাতেই গায়ের জোরে তাঁদের তুলে দেয় পুলিশ। শুক্রবার সকাল থেকেই ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এ দিন সকাল থেকেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরের সামনে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। সামিল হন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। তার পরেই পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার বাঁধে অবস্থানকারীদের।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শ্রীলেখার আরও বক্তব্য, ‘‘শুক্রবারের সকাল একেবারেই শুভ নয়। আজকের দিনটা অন্তত নিজের কাজ, বেড়াতে যাওয়ার সেলফি পোস্ট না করে ফেসবুকে বৃহস্পতিবারের ঘটনা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট করুন। তা হলে আমরা কিছু ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারব।’’ তাঁর মতে, শুধুই নিজেদের কথা না ভাবার সময় এটা নয়। মানবিকতা দেখানোর সময় এসেছে। নিজের বিপদের আশঙ্কা থেকে বেরিয়ে সমাজের মঙ্গলসাধনের এটাই সঠিক সময়। এই মুহূর্তে শহরে যা ঘটছে তার প্রতিবাদ করতে হবে সবাইকে।

 

 

তাঁর আরও আর্জি, ‘‘এ বার আমাদের অন্যায় ভাবে চাকরি না পাওয়া ছেলেমেয়েগুলোর পাশা থাকা উচিত। তাঁদের বোঝানো উচিত, আমরা তাঁদের পাশে।’’ তার পরেই টলিউডের বাকিদের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, এখনও যাঁরা এই ভাবনা ভাবতে রাজি নন, এই পদক্ষেপ করতে দ্বিধায় ভুগছেন তাঁরা নির্দ্বিধায় শ্রীলেখা মিত্রকে বন্ধুত্বের তালিকা থেকে সরিয়ে দিতে পারেন। এই ধরনের মানুষদের বন্ধু হতে তিনিও চান না!

চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের প্রায় প্রাথমিক স্তরে এই বিষয়টি নিয়েই শ্রীলেখার বিরোধ বেঁধেছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে। ঋতুপর্ণা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অভিনয়ের জন্য বিশেষ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিল। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন তিনি। তখনও একই সুরে টলিউডের প্রথম সারির নায়িকাকে বিঁধেছিলেন শ্রীলেখা। ফেসবুকেই লিখেছিলেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব যদি অন্যায় ভাবে চাকরি না পাওয়াদের কথা বলেন তা হেল তাঁরা মনে জোর পান। তার পরেই তাঁর যুক্তি, শুধুই নিজের কথা ভাবা বা বলার জন্য মানুষ-জন্ম নয়। পরের কথা ভাবাটাও কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। তিনি ঋতুপর্ণাকে সেই অনুরোধই করছেন।
 

PREV
click me!

Recommended Stories

দীর্ঘ অসুস্থতায় শয্যাশীয়া, না ফেরার দেশে প্রবীণ অভিনেতা কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়, শোক প্রকাশ একাধিক তারকার
টেলিভিশনের মেগা ধারাবাহিক থেকে বড় পর্দার সফল নায়িকা, বছরে কত টাকা উপার্জন করেন মিমি চক্রবর্তী?