রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা তথা তৃণমূল প্রাথী সোহম চক্রবর্তী বেশ জনপ্রিয় সকলের কাছেই। ২০১৬ সালে ভোটে হারলেও হার মানেন নি তিনি। এবারও পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরে প্রার্থী পদে দাঁড়িয়েছিলেন সোহম চক্রবর্তী। এবং সেখান থেকে প্রথমবার জয়ী হলেন অভিনেতা। জয়ের আনন্দের মধ্যেই দুঃসংবাদ। ভোট গণনার দিনই আত্মঘাতী হয়েছেন অভিনেতার শ্যালিকা পারমিতা নাথ। মৃত্যুকালে যার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট গণনার দিনই কেষ্টপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় পারমিতার ঝুলন্ত দেহ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর পরই অভিযোগের ভিত্তিতে পারমিতার স্বামী রুদ্রপ্রসাদ এবং শাশুড়ি বাসন্তী নাথকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোহমের স্ত্রী অর্থাৎ পারমিতার বোনই এই অভিযোগ করেছেন। এছাড়া বধূ নির্যাতনেরও অভিযোগ জানিয়েছেন সোহমের স্ত্রী।
পুলিশি অনুমান থেকে প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, শশ্বরবাড়ির মানসিক অত্যাচারের জেরেই অবসাদ ভুগছিলেন পারমিতা। দিনের পর দিন চলতে থাকা মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছেন পারমিতা। এই খবর পাওয়া মাত্রই ভেঙে পড়েছেন সোহম চক্রবর্তী। তবে দুঃসংবাদের মধ্যেও বিজেপির পুলককান্তি গুড়িয়াকে হারিয়ে বিধানসভার টিকিট পেয়েছেন সোহম চক্রবর্তী।
তৃণমূল কংগ্রেসে মোটেই নবাগত নন সোহম চক্রবর্তী। সাত বছর ধরেই তিনি শাসক দলের সঙ্গে রয়েছেন। এমনকী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। ২০১৬ সালে দেওয়া হয়েছিল বড়জোড়ার টিকিট। সেবার তিনি হারেন সিপিএমের কাছে। এবারে অবশ্য একবার তিনি ইতিমধ্যেই জিতে রয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে। করোনাজয়ী সোহম কয়েকদিন আগে ফের জ্বরে পড়েছিলেন। ভোটের মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছিলেন সোয়াইন ফ্লু-তে। শরীর দুর্বল নিয়েই ভোট প্রচারে নেমেছিলেন তিনি। এবার ভোটে জয়ী হয়ে ভাগ্যা পাল্টাটেন সোহম।