শোকস্তব্ধ ওপার বাংলাও, সৌমিত্রের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ শেখ হাসিনার

  • একনিমেষে শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়
  •  এপার বাংলাই শুধু নয়, ওপার বাংলাও শোকাহত সৌমিত্রর প্রয়াণে
  • সৌমিত্রের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ  করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
  • অভিনয় জগতে তৈরি হল বিরাট শূন্যতা

Asianet News Bangla | Published : Nov 15, 2020 12:10 PM IST / Updated: Nov 15 2020, 05:45 PM IST

অপু থেকে ফেলুদা, সেখান থেকে বাঙালির হার্টথ্রব সৌমিত্র, একনিমেষে শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। তার এই প্রয়াণে বাংলা সিনেমার এর যুগের অবসান ঘটল। বাঙালির মনে তিনি অবিনশ্বর।  সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা টলিপাড়ায়। বাংলা চলচ্চিত্রের কালো দিনে সকলেই শোকাহত। শেষমেষ আর আটকে রাখা গেল না বাংলা ইন্ডাস্ট্রির 'জুয়েল'কে। এপার বাংলাই শুধু নয়, ওপার বাংলাও কাঁদছে আজ। সৌমিত্রের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ  করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌমিত্রর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, 'অভিনয় জগতে তৈরি হল বিরাট শূন্যতা, তিনি আজীবন সকলের হৃদয়ে থেকে যাবেন।' ক্যান্সারকে হারিয়ে, করোনাকে ঠেলে ফেলে তিনি যেভাবে জীবন-মৃত্যুর লড়াই লড়ছিলেন  তাতে  চিকিৎসকেরাও আশা করেছিলেন এই লড়াই তিনিজিতবেনই । দীর্ঘ ৪০ দিন লড়াইয়ে অবশেষে হেরে গেলেন সৌমিত্র বাবু। তবে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। কয়েকদিন চিকিৎসায় সাড়া দিলও গত শনিবার রাতের পর থেকেই তার শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। তারপরেই আজ বেলাতেই ঘোষণা করা হয় তার মৃত্যুসংবাদ। চিকিৎসক সহ গোটা টিম তার কামব্যাকের অপেক্ষায় থাকলেও সকলকে চিরতরে বিদায় জানালেন বাঙালির ফেলুদা।

ফেলুদা আর নেই। একটানা দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াই শেষ। প্রতিদিনই যেই মানুষটার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে আপামর বাঙালি, সেই সকলের প্রিয় ফেলুদা আর নেই।  দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। চিকিৎসকেরা আশার আলো দেখছিলেন শেষ মুহূর্তে। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হল না। রবিবার  ১২ টা ২০ নাগাদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের  মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে বেলভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। একটানা ৪০ দিন ধরে চলছে জীবন-মৃত্যুর লড়াই। অদম্য ফাইটিং স্পিরিট নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাঙালির ফেলুদা। অবশেষে আর পারলেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এগোচ্ছিল খারাপের দিকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাদের সব রকম চেষ্টা সত্বেও কোনও কিছুই কাজ হচ্ছে না। কিন্তু  লড়াকু মানুষটির থেকে আরও একবার কামব্যাকের আশা করছিলেন সকলে। কিন্তু অবশেষে শেষরক্ষা আর হল না।
 

Share this article
click me!