বচ্চন পরিবারে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা। অমিতাভ বচ্চন এবং অভিষেক করোনায় সংক্রমিত হওয়ার একদিন পরই ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং আরাধ্যার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। প্রথম রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও দ্বিতীয় রিপোর্টটি পজিটিভ আসায় উদ্বেগ বেড়েছে ভক্তমহলের। এখন অবশ্য পরিস্থিতি খানিক সামলানো গিয়েছে। অমিতাভ এবং অভিষেকের নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হওয়ার পর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছে। অন্যদিকে ঐশ্বর্য এবং আরাধ্যার চিকিৎসা বাড়িতেই চলছে। বিচলিত ভক্তরা তাঁদের আরোগ্য কামনায় ভরিয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে নিজের টুইটার ব্লগ অব্যাহত রাখলেন বিগ বি।
আরও পড়ুনঃবালু শিল্পে অমিতাভ, পুরী থেকে অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনায় সুদর্শন
"শুভকামনার এবং প্রার্থনার যে বৃষ্টি আপনারা মুষলধারায় করিয়েছেন, যে স্নেহ আপনারা আমাদের করেছেন, আপনাদের অগাধ ভালবাসা আমায় অভিভূত করেছে। আমার পক্ষে ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয় যে আমি আপনাদের কাছে কতখানি কৃতজ্ঞ।" অমিতাভের এই টুইটেও শুভকামনার বন্যা বয়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, জয়া বচ্চন, তাঁর মেয়ে স্বেতা বচ্চন ও তাঁর পরিবারের রিপোর্ট নেগেটিভ আছে যাতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে অনুরাগীরা। অমিতাভ বচ্চনের পর অভিষেক বচ্চন টুইট করে জানিয়েছিলেন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। বাবার সঙ্গে নানাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিষেক। করোনার মৃদু উপসর্গ পাওয়া গিয়েছে দু'জনের শরীরে। শনিবার বিকেলে শারীরিক অসুস্থতার দরুণ নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই পরীক্ষা হতেই ফলাফলে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তাঁর।
আরও পড়ুনঃবিকিনিতে আগুন ধরালেন অনুষ্কা, ছবিতে মন্তব্য ক্যাপ্টেন কোহলির
অন্যদিকে জলসার ২৬ কর্মীর রিপোর্টও ইতিমধ্যে নেগেটিভ এসেছে। অমিতাভ নিজের ট্যুইটে লিখেছিলেন, "আমি করোনায় আক্রান্ত। হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছি। হাসপাতালের পক্ষে থেকে কর্তৃপক্ষকে সমস্ত খবরাখবর দেওয়া হচ্ছে। পরিবারের বাকি সদস্য এবং পরিচারক-পরিচারিকাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে তারা। গত দশ দিনে যারা আমার সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের অনুরোধ করছি নিজেদের পরীক্ষা করিয়ে নিন।" প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেখার বাংলো সি স্প্রিং-এও করোনার থাবা। অভিনেত্রীর বাড়ির দু'জনের নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে একজনের করোনা টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তৎক্ষণাৎ সিল করে দেওয়া হয়েছে তাঁর বাংলো। বিএমসির তরফে সেই এলাকাটিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষিত করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হওয়া সেই নিরাপত্তারক্ষী এখন বিকেসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিএমসি ইতিমধ্যেই বাংলোর গেটের সামনে নোটিশ সহ বাড়িটি স্যানিটাইজ করিয়েছে।