রাজেশ খান্নার জীবনী অবলম্বনে গৌতম চিন্তামনির লেখা বই ডার্ক স্টার, দ্য লোনলিনেস অফ বিইং রাজেশ খান্না। এই বই থকে অনুপ্রাণিত হয়ে বড়পর্দায় ফের একবার তাঁকে জীবন্ত করে তোলার ইচ্ছে প্রকাশ প্রযোজক নিখিল দ্বিবেদীর।
বলিউডের বিভিন্ন সুপারস্টার থেকে লেডেন্জদের নিয়ে বায়োপিক রেওয়াজ রয়েছে বলিপাড়ায়। দর্শক দরবারেও বেশ ভালোই সাড়া পাওয়া যায়। এবার সেই তালিকার নয়া সংযোজন বলিউডের এভারগ্রিন তারকা রাজেশ খান্না। আনন্দ, আরাধনা, কটি পতঙ্গের মত একগুচ্ছ সুপারহিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছেন স্বর্ণযুগের এই তারকা। অভিনেতা-প্রযোজক নিখিল দ্বিবেদী রাজেশ খান্নার বায়োপিকের প্রযেোজনা করবেন। প্রসঙ্গত, গৌতম চিন্তামনির লেখা বই ডার্ক স্টার, দ্য লোনলিনেস অফ বিইং রাজেশ খান্না-এই বই থকে অনুপ্রাণিত হয়েই ছবিটি প্রযোজনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একদিকে যখন তিনি রাজেশ খান্নার বায়োপিক প্রযোজনার কথা ভাবছেন তখন বলিউডের প্রথমসারির অন্যদিকে নামজাদা পরিচালক এই ছবি পরিচালনার প্ল্যানিং করছেন। আসলে প্রযোজক নিজেই ফারহা খানের সঙ্গে রাজেশ খান্নার বায়োপিক পরিচালনার জন্য কথা বলছেন। রুপোলি পর্দায় ফের একবার রাজেশ স্মৃতি চারণার সুযোগ পাবেন সিনেপ্রেমী মানুষরা।
ফারহা খানের তরফে কিছুটা হলেও সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেছেন, গৌতম চিন্তামনির বইটি পড়েছেন। এই বইতে রাজেশ খান্নার জীবনকে সিনেমার থেকেও সুন্দরভাবে পাঠকের সামনে উপস্থাবিত করেছেন। তবে রাজেশ খান্বার বায়োপিক পরিচালনার করবেন সেই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তের কথা এখনও জানন নি তিনি। অন্যদিকে প্রযোজক নিখিল দ্বিবেদী বলেছেন, রাজেশ খান্নার জীবনকে সিলভারস্ক্রিন মারফত দর্শক দরবারে মেলে ধরার জন্য তিনি এই বইয়ের স্বত্ব কিনেছেন। শুধু তাই নয় পরিচালকের সঙ্গেও প্রাথমিক পর্যায়ে কথাবার্তা চলছে। যদি কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় তাহলে তিনি সকলের সামনে আনন্দের সঙ্গে সেই কথা ঘোষণা করবেন। কারন রাজেশ খান্নার মত একজন অভিনেতার জীবনীর ওপর কাজ করা তাঁর কাছে অনেক সৌভাগ্যের। এক সময় গোটা বলিউড জুড়ে ছিল রাজেশের রাজত্ব, অভিনয় দক্ষতার জোড়ে আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত ছিল তাঁর জনপ্রিয়তা।
আরও পড়ুন-হার্টে ব্লকেজ, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর এ কেমন চেহারা হয়েছে অনুরাগের, ফাঁস করলেন আলিয়া
আরো পড়ুন-বিয়ের দিন এই লুকেই কি তবে ধরা দেবেন তৃণা, এক মাস আগেই শুরু Bridal লুক পর্ব
রাজেশ খান্নার বায়োপিক তৈরি মানেই রুপোলি পর্দায় শুধু তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারকেই তুলে ধরা নয়। তাঁর ব্য়ক্তগত জীবন থেকে জীবনের সেষ অধ্যায়ের একাকিত্ব সবটাই চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে মেলে ধরতে হবে। আর সেই জন্য তাঁর পরিবারের অনুমতি নেওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি। তঁর মত একজনের সুপারস্টারের জীবনের শেষপর্বটা মোটেই সুখপ্রদ ছিল না। একাকিত্বমাখা জীবন অবশেষে ২০১২ সালের ১৮ জুলাই অন্ধকারের অতল সাগরে তলিয়ে যায়। আর সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় হিন্দি ছবির একটা অধ্যায়। রাজেশ খান্নার মত একজন দাপুটে অভিনেতা বা সুপারস্টারের জুতোয় কে গলাবেন একন সেটাই প্রশ্ন।