
শুধু পর্নোগ্রাফি নয়, শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা কি অনলাইন বেটিং-এর সঙ্গেও জড়িত ছিলেন? তেমনটাই সন্দেহ করছে পুলিশ। আর সেই কারণে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা। গত ১৯ জুলাই একটি অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণ ও নির্মাণচক্রের মূল পান্ডা হিসাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার মুম্বই পুলিশ রাজ কুন্দ্রা ও তার সঙ্গী রায়ান থর্পের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চাইলেও দায়রা আদালত রাজ ও রায়ানের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ ২৭ জুলাই পর্যন্ত বাড়ালো।
তবে, এদিন এই মামলায় আরও এক চাঞ্চল্য কর অগ্রগতি ঘটেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, তাদের সন্দেহ, রাজ-রায়ান এই পর্নোগ্রাফির ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অনলাইন বেটিং-এ খাটাত। এই কারণে রাজ কুন্দ্রার ইয়েস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ আফ্রিকা অ্যাকাউন্টের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন, এমনটাই আদালতে জানিয়েছে তারা। এই কারণেই রাজ কুন্দ্রা ও একজন রায়ান থর্পকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
এদিনও এই অশ্লীল চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কিত মামলার তদন্তে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার একটি দল রাজ কুন্দ্রাকে হেফাজতে নিয়েই শিল্পা শেঠি কুন্দ্রার বাড়িতে অভিযান চালায়। এর আগে এরকম একটি অভিযানে তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৭০টি অশ্লীল চলচ্চিত্রের ভিডিও মিলেছিল। মুম্বই পুলিশ আরও জানিয়েছে, রাজ কুন্দ্রার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অনুসন্ধান চালিয়ে একটি বিস্ফোরক তথ্য মিলেছে। চ্যাটে, রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে ১২ লক্ষ মার্কিন ডলারে ১২১ টি অশ্লীল ভিডিও বিক্রি করার বিষয়ে একটি চুক্তি হওয়ার কথা চলছিল। পুলিশের অনুমান, এই চুক্তিটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। তাই এই বিষয়েও আরও তদন্ত করতে চাইছে তারা।