সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় ক্রমশ ঘুরছে মোড়। সন্দেহ প্রকাশ করছে এবার মুম্বই পুলিশ। জেরায় এবার ডাকা হল চলচ্চিত্র সমালোচক রাজীব মসন্দকে। বান্দ্রা থানায় দেখা গেল রাজীবকে। জানা যাচ্ছে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে জেরায় কী কী তথ্য বেরিয়ে এল তা এখনও জানা যায়নি। আদিত্য চোপড়া এবং সঞ্জয় লীলা বনশালীর বয়ানের পর তাঁর বয়ানের বৃতান্ত জানার জন্য মুখিয়ে বসে রয়েছে সুশান্ত-ভক্তরা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যশ রাজ ফিল্মসের সর্বেসর্বা আদিত্য চোপড়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বান্দ্রা পুলিশ। টানা সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে চলেছে তাঁর জেরা। এই জেরাতেই বেরিয়ে এল নানা তথ্য। সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়ে চলেছে পুলিশের।
আরও পড়ুনঃকরোনার প্রকোপের মাঝে বড় পদক্ষেপ সইফের, করিনা-তৈমুরকে বাড়ি ছাড়লেন নবাব
পুলিশ সূত্রে খবর সঞ্জয় লীলা বনশালী এবং আদিত্য চোপড়ার বয়ানে নাকি আকাশ-পাতাল তফাত। মিলছে না তাঁদের বয়ানের কিছউ অংশ। বনশালীকে জেরার করার প্রকাশ্যে আসে সুশান্তকে বহুবার অনুরোধের পরও নিজের ছবি বাজিরাও মস্তানিতে নিতে পারেননি সুশান্ত। কারণ তাঁর কথায়, সুশান্ত সেই সময় যশ রাজ ফিল্মসের একটি ছবি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে কথা বলেও তিনি সুশান্তকে নিজের ছবিতে নিতে পারেননি। অন্যদিকে আদিত্যের বয়ানে প্রকাশ্যে এসেছে, বনশালী নাকি যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে কোনও কথোপকথনেই যাননি। আদিত্যের বয়ান অনুযায়ী, সুশান্ত এমএস ধোনি ছবিতে যদি সেই সময় কাজ করতে পারেন তাহলে বাজিরাও মস্তানিতে কাজ না করার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না আদিত্য।
আদিত্যের আরও কিছু বয়ানে বেড়েছে সন্দেহ। আদিত্য জানান, ২০১২ সালে রণবীর সই করেছিলেন গোলিও কি রাসলীলা রামলীলা। প্রায় একই সময় সুশান্ত সিং রাজপুত চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে। রণবীর সঞ্জয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে যদি যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে পরে কাজ করতে পারেন তাহলে সুশান্তকে বনশালীর সঙ্গে কাজ না করতে দেওয়ার কোনও কারণই নেই। পুলিশের সূত্র মারফত এই খবরে রহস্য কতখানি ঘনীভূত হয় এবং নতুন কিছু প্রকাশ্যে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।