বর্তমানে করোনা নিয়ে সঙ্কট যতটাই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে, ততটাই সকলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি। কল-কারখারা বিকল হলেও যাঁদের হাত-পা কোনও দিন থামেনি, যাঁদের কাঁধে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশের সর্বস্তরের বুনিয়াদ, সেই শ্রমিকশ্রেণী আজ দিশেহারা। নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে পেটের টানে কাজ করতে ছুঁটেছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ বাড়িতেই পার্লার, হেয়ার স্টাইলিস্ট রণবীর, আলিয়ার নয়া লুকের নেপথ্যে মিস্টার কাপুর
নিজের ভিটে মাটি ছেড়ে দুরে কোথাও দিন কাটানো। একসঙ্গে কয়েকজনের থাকা খাওয়া। রাত-দিন কাজ, মাঝে মধ্যে কদিনের ছুটিতে বাড়ি ফেরা। কিন্তু করোনার কোপে এখন বন্ধ কলকারখানা, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, নেই উপার্জন। রাস্তায় রাস্তায় দিন কাটছে হাজার হাজার মানুষের। কখনও মিলছে খাবার, কখনও আবার ঘনিয়ে আসছে অনিশ্চয়তা। লকডাউনের প্রথম পর্যায় শেষের আগেই ঘরে ফেরার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু সমস্যা বাড়ায় আজও উঠে লকডাউন। কেয়ে গিয়েছে ৫০ দিনের বেশি সময়।
শ্রমিকদের এই কঠিন পরিস্থিতির ছবিই কলমের ভাষায় তুলে ধরলেন গীতিকার, লেখক গুলজার, কবিতার নাম দিলেন মজদুর মহামারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কবিতা পাঠ করে শোনালেন নিজেই। কবিত্রার প্রতিটা ছত্রে গাঁথলেন নারীর টানে, শিকড়ের টানে ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকদের ইতিকথা। পথে হেঁটে মাইলের পর মাইল ক্লান্ত মানুষগুলোর ওপর নেমে আসছে মৃত্যু, তবুও থামেনি তাঁদের পথ চলা। পথ দুর্ঘটনার বলি একাধিক শ্রমিক, তবুও শেষ ক্ষমতাটুকু নিংড়ে নিয়ে পথ চলেছেন তাঁরা। কঠিন পরিস্থিতি থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের কষ্টকেই ভাষা দিলেন এদিন গুলজার।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল
কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস