রবিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, শোকের ছায়া দেশ জুড়ে

প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, রবিবার সকালেই মিলল দুঃসংবাদ। দেশ জুড়ে শোকের ছায়া।

Jayita Chandra | Published : Feb 6, 2022 4:30 AM IST / Updated: Feb 06 2022, 11:09 AM IST

শেষ রক্ষা হল না। কঠিন লড়াই দীর্ঘ ২৮ দিনের। শনিবার দুপুরেই স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতী ঘটে। তখন থেকেই চলছিল অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট। ডাক্তারের কথায় তিনি প্রাথমিক অবস্থায় টলারেট করছিলেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি, রাতের দিকে অবস্থার উন্নতিও ঘটে। কিন্তু রবিবার ভোরেই মেলে ভয়ানক খবর, হঠাৎই স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতী ঘটায় ব্যর্থ হয় সকল চেষ্টা। চির নিদ্রায় লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar No More)। শনিবার মধ্যরাতে মেলে স্বস্তির খবর, সবস্থা স্থিতিশীল সুর -সম্রাজ্ঞী লতাজির (Lata Mangeshkar)। এদিন গোটা দেশ জুড়ে প্রার্থনায় যেন সাড়া দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস, শনিবার বেলাতেই মিলেছিল দুঃসংবাদ। ২৭ দিনের মাথায় আবারও অবস্থা খারাপের পথে ছিল লতা মঙ্গেশকরের।

তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিইউ থেকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে, শুরু করা হয় অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট, তবে সেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শনিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেই খবর সকলকে জানিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে, রবিবার সকাল পর্যন্ত মেলা খবর অনুযায়ী এখনও ডাক্তারের কড়া নজরদারিতেই রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ভেন্টিলেশনেই ছিলেন তিনি। তবে শনিবারই একাধিক সেলেব থেকে রাজনীতি বিদরা তাঁকে দেখতে হাসপাতাল মুখে হয়েছিলেন। তবে সব লড়াইয়ের ইতিঘটে রবিবার সাত সকালে। 

খবর সামনে আসতেই শিল্পী মহল থেকে শুরু ,করে গোটা বিশ্বের ভক্তমহল চোখের জলে ভাসছে। সাত সকালের  এই সংবাদ যেন স্তব্ধ করে দিল গোটা দেশ, চলে গেলেন ভারতের নাইটেঙ্গেল লতা মঙ্গেশকর। শনিবার বেলা থেকেই বাড়তে থাকে উদ্বেগ। আইসিইউ-তে চিকিৎসা চলছিল লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) । কয়েকদিন আগেই মিলেছিল করোনা নেগেটিভ (COVID 19 Negetive) হওয়ার খবর। কিন্তু নিউমনিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন সুর-সম্রাজ্ঞী। টানা ২৭ দিন  ধরে চলৃেছিল লড়াই। তবে অবস্থার হচ্ছিল উন্নতি, যদিও উন্নতির হার ছিল মৃদু, রবিবার ডাক্তারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অবস্থার অবনতি হচ্ছে লতা মঙ্গেশকরের। তড়িঘড়ি আবারও নিয়ে যাওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। সকলের প্রার্থনা ছিল তাঁর সঙ্গে। কিন্তু অস্বাভাবিক লড়াই ও মনবল দিয়ে শেষ পর্যন্ত টানা একমাস লড়াি চালিয়েছিলেন সুর-সম্রাজ্ঞী। খবর সামনে আসা মাত্রই বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের সামনে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। নেট দুনিয়ায় ভক্তদের শ্রদ্ধার্ঘের পোস্ট মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। 

Read more Articles on
Share this article
click me!