লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন লোপামুদ্রা। তিনি বলেন, "এত বড় মাপের একজন মানুষ ছিলেন। এতদিন আমাদের মধ্যেই ছিলেন। কিন্তু, আজ তিনি চলে গেলেন। তবে আমার বিশ্বাস যে লতা মঙ্গেশকর কখনও চলে যেতে পারেন না। কারণ শিল্পীর কোনও মৃত্যু হয় না।"
২৮ দিনের লড়াই শেষে আজ সকাল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar Passes Away)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে (Breach Candy Hospital) ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন তিনি। তারপর থেকে আইসিইই-তেই (ICU) ছিলেন তিনি। প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে লড়াই করছিলেন তিনি। তবে শরীর মাঝে মধ্যেই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। আজ ভালো তো কালই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছিল তাঁর শরীর (Health Condition)। সেভাবেই লড়াই জারি রেখেছিলেন। কিন্তু, গতকাল শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে (Ventilator)। তবে সেই লড়াই শেষে আর জিতে বাড়ি ফিরলেন না তিনি। আজ সকালেই হাসপাতালে (Hospital) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশের বহু মানুষ। শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীত জগতেও। বাদ যাননি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রও (Lopamudra Mitra)।
লোপামুদ্রার বক্তব্য
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন লোপামুদ্রা। তিনি বলেন, "এত বড় মাপের একজন মানুষ ছিলেন। এতদিন আমাদের মধ্যেই ছিলেন। কিন্তু, আজ তিনি চলে গেলেন। তবে আমার বিশ্বাস যে লতা মঙ্গেশকর কখনও চলে যেতে পারেন না। কারণ শিল্পীর কোনও মৃত্যু হয় না। আর গোটা জীবনে উনি শুধুমাত্র ভারতের জন্যই নয় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও যা দিয়ে গিয়েছেন তা অতুলনীয়। তাঁর জন্য যে জায়গা ছিল তা থাকবেই। পৃথিবীতে সঙ্গীত যতদিন থাকবে ততদিন বেঁচে থাকবেন লতা মঙ্গেশকর।"
আরও পড়ুন- রবিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, শোকের ছায়া দেশ জুড়ে
লতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা
লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে সেভাবে কখনও কাজ করেননি লোপামুদ্রা। কিন্তু, সুর সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল তাঁর। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে লোপামুদ্রা বলেন, "একটি অনুষ্ঠানে ওঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেখানে লতাজি ছিলেন, আশা ভোঁসলে ছিলেন। তাঁর হাত থেকে ফুল নিয়েছি, তাঁকে প্রণাম করেছি। এটাই আমার কাছে একটা বড় পাওনা। আসলে উনি তো আমাদের কাছে ঈশ্বর, তাঁকে ছুঁতে পেরেছি এটাই সারাজীবন আমার কাছে স্মৃতি হয়ে থাকবে।"
আরও পড়ুন- রবিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, শোকের ছায়া দেশ জুড়ে
লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ
শেষ রক্ষা আর হল না। ২৮ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে হার মানলেন লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar)। শনিবার দুপুরেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তখন থেকেই চলছিল অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট (Agressive Treatment)। চিকিৎসকদের কথায় তিনি প্রাথমিক অবস্থায় টলারেট করছিলেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি, রাতের দিকে অবস্থার উন্নতিও ঘটে। তবে শনিবারই তাঁকে তড়িঘড়ি আইসিইউ থেকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে, শুরু করা হয় অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট। সেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শনিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেই খবর সকলকে জানিয়েছিলেন তাঁর বোন তথা গায়িকা আশা ভোঁসলে। রবিবার সকালে শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, চিকিৎসকের কড়া নজরদারিতেই ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ভেন্টিলেশনেই ছিলেন তিনি। তবে শনিবারই একাধিক সেলেব থেকে রাজনীতিবিদরা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু, রবিবার সকাল হতে না হতেই ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। তারপর আর লড়াই জারি রাখতে পারেননি তিনি। অবশেষে হার মেনে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। ফেলে রেখে গেলেন পরিবারের পাশাপাশি শত কোটি অনুরাগীকে।
আরও পড়ুন- হেমা মালিনি, শাবানা আজমি থেকে শুরু করে অক্ষয়-অজয়, শোকস্তবদ্ধ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের খবরে