প্লাস্টিক সার্জারির ট্রেন্ড বহুদিন ধরেই চলে এসেছে হলিউড এবং বলিউডে। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন থেকে শ্রীদেবী, শিল্পা শেট্টি কেউই বাদ পড়েন না এই তালিকা থেকে। কেবল সার্জারিই নয়, নানা ধরনের থেরাপি অর্থাৎ মেলানিন থেরাপি, যার জন্য গায়ের রঙ ফর্সা হয়ে যায়, তার সাহায্যও নিয়েছেন অধিকাংশ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এই তালিকায় টেলিজগতের তারকাদের নাম রাখতে হলে প্রথমে উঠে আসে মৌনি রায়ের নাম। শরীরের বিভিন্ন অংশে রয়েছে প্লাস্টিক সার্জারির কাজ।
লিপ সার্জারির পাশাপাশি ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট, মেলানিন থেরাপি (ফর্সা হওয়া) ও লাইপোসাকশন (যার মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ানো যায়) করিয়েছেন মৌনি। সম্প্রতি তাঁর পোস্ট করা একটি ছবিতে তাঁকে সাংঘাতিক ভাবে রোগা লাগছে। যার কারণে নিন্দুকরা সেই পোস্টে ভিড় জমিয়ে বলতে থাকে, তিনি দুর্ভিক্ষের শিকার নাকি অপুষ্টিতে ভুগছেন। অবশ্য এই প্রথমবার নয়। এর আগেও মৌনিকে চেহারা, ঠোঁট, মেকআপ, পোশাক নিয়ে অনেক নিন্দাই শুনতে হয়েছে।
আরও পড়ুনঃঅপেক্ষায় দিন কাটছে না দেবলীনার, গৌরবের 'দুলহন' হয়ে সেজে উঠলেন অভিনেত্রী
যদিও তিনি এসবই একেবারেই আর কান দেন না। একতা কাপুরের কিউকিঁ সাস ভি কভি বহু থি ধারাবাহিকে বিগ ব্রেক। সেই মৌনি আর আজকের মৌনির মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। বিনোদন জগতে থাকতে থাকতে গ্রুমিং অবশ্যই বদলে ফেলে তারকাদের। তবে তাই বলে পুরো ভোল পাল্টে দেওয়া যায়, তেমনটা সম্ভব না। মাথা থেকে পা পর্যন্ত যেন আর চেনাই যায় না মৌনিকে। কিউকিঁ সাস ভি কভি বহু থি-র কেটির চরিত্রে অভিনয় করা মৌনির সঙ্গে এখনকার নাগিন মৌনির কোনও মিলই নেই চেহারায়।
আরও পড়ুনঃনুসরতের সাংসদ Mode on, কাজের ফাঁকেই চলল গ্ল্যামারের ফোটোশ্যুট
শরীরে কতখানি কাঁচি-ছুড়ি চালিয়েছেন তা এই ছবিগুলিই প্রমাণ করে দিচ্ছে। হেয়ারলাইন করেকশন থেকে ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট কিছুই বাদ রাখেননি অভিনেত্রী। কপাল চওড়া হওয়ার কারণে তিনি কয়েক বছর আগেই হেয়ারলাইন কারেকশন করে কপাল ছোট করিয়ে নেন। তাঁর লিপ সার্জারি নিয়ে চর্চা একটু বেশিই হয়েছে। কারণ সেটাই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছিল। পাতলা ঠোঁট থেকে একেবারে ফুলে ফেপে ঢোল হয়ে যাওয়া ঠোঁট, কারও নজর এড়াইনি।