সেন্সর বোর্ড থেকে এই ছবিকে গ্রিন সিগনাল দেওয়া হয়েছে। ছবির পরিচালক ও অক্ষয় কুমার এই কেসের মূল মুখ, যদিও প্রকাশ্যে এই নিয়ে ছবির নির্মাতা বা অক্ষয় কুমার কোনও মন্তব্যই করেননি।
একের পর এক ছবির কাজ নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন অভনেতা অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)। প্রতিটা পদে পদে তিনি যেভাবে ছবির কাজ শেষ করে চলেছেন তাতে বিটাউনের সর্বাধিক ব্যস্ততম নায়ক বললে খুব একটা ভুল হবে না। লকডাউনের মধ্যেই শেষ করে রেখেছেন তিনি একাধিক ছবির কাজ। তার মধ্যে অন্যতম হল পৃথ্বীরাজ (Prithviraj)ছবি। করোনার কোপ কাটতে না কাটতেই একের পর এক ছবি মুক্তির দিন আসছে সামনে, সেই তালিকাতে ছিল বহু প্রতিক্ষীত ছবি পৃথ্বীরাজও (Movie Release) । কিন্তু মুক্তির আগেই আদালতে পৃথ্বীরাজ ছবি। জোর ধাক্কার মুখে ছবির মুক্তি, হবে পারে ব্যানও (Movie Going To Ban)। বিষয়টা কি, ছবি রাজপুত সম্প্রদায়ের বিশ্বাস ও মর্যাদায় আঘাত হেনেছে। যার ফলে করনি সেনা এবার দ্বারস্থ এলাহাবাদ সর্বোচ্চ আদালতের (Allahabad HC)। ছবির মুক্তি বন্ধ করা হক, এমনই দাবি তুলে আদালতে এবার রাজপুত সম্প্রদায়।
রাজপুতের (Rajput Community) জাতীয় স্তরের মহিলা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট, এই ছবি মুক্তির ওপর স্থাগিতাদেশ আনার দাবি তোলেন। ইতি মধ্যেই কোর্টে জমা পড়েছে আবেদন। ভাইস প্রেসিডেন্ট সঙ্গীতা সিং (Sangeeta Singh) জানান, ছবির নাম কেবল পৃথ্বীরাজ (Prithviraj), যার বদলে হওয়া উচিত ছিল সম্রাট পৃথ্বীরাজ, তাতেই রাজপুত সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। ছবির নারকরণে সম্রাটকে যথাযত সম্মান দেওয়া হয়নি। যার ফলে সকলের কাছে এক ভূল বার্তা যাচ্ছে। তাঁদের কথায়, কোনও অভিযোগই থাকত না, যদি ছবির নামকরণে একটু যত্নশীল হতেন নির্মাতারা। এতে ভারতের স্বর্ণময় ইতিহাসের অবমাননা। পাশাপাশি রাজপুত সম্প্রদায়ের কাছেও বেশ অসম্মানের।
আরও পড়ুন-Movie Baba Babu O:'বাবা হওয়ার ফায়দাটা পুরো তুলেছি', 'বাবা বেবি ও' নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে যিশু
আরও পড়ুন-একদিকে অজয় দেবগণের প্রথম লুক অন্যদিকে ছবির নতুন পোস্টার, ফের খবরে গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি
দেশের হিন্দুত্বের রক্ষার তাগিদে এই বিযয়গুলোর ওপর নজর রাখাহোক। তবে এখানেই শেষ নয়, ছবিতে মানসি চিল্লারকে নেওয়া নিয়েও ওঠে অভিযোগ। এই ছবিতে মানসি চিল্লারকে লেহেঙ্গা ও চোলিতে দেখা যায়। যেখানে শরীরের বেশ কিছুটা অংশ উন্মুক্ত। মহারানি স্যায়গীতার প্রতি এই পোশাকও অসম্মানের। ছবির টিজারে রানিকে যেভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে, তাতে গ্ল্যামার ও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা, বদলে গল্পের টুইস্ট বা মূল ইতিহাসকে সেভাবে পোট্রেট করা হয়নি। যদিও সেন্সর বোর্ড থেকে এই ছবিকে গ্রিন সিগনাল দেওয়া হয়েছে। ছবির পরিচালক ও অক্ষয় কুমার এই কেসের মূল মুখ, যদিও প্রকাশ্যে এই নিয়ে ছবির নির্মাতা বা অক্ষয় কুমার কোনও মন্তব্যই করেননি।