করোনার প্রকোপ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। পরিবহনের ওপর রয়েছে একাধিক নিশেধাজ্ঞা। এমনই পরিস্থিতি কাপুর পরিবারের ছবিটাও হঠাৎই গেছিল পাল্টে । ইরফান খানের ম়ত্যুর দিন রাতেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কিংবদন্তী তারকা ঋষি কাপুর। খবর পেয়েছিল বাড়ির মেয়ে ঋদ্ধিমা। থাকেন তিনি দিল্লিতে। তাই বাবা অসুস্থ জেনেও বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না। তবে বৃহস্পতিবার সকাল হতেই মিলল দুঃসংবাদ। প্রয়াত হন ঋষি কাপুর।
কান্নায় ভেঙে পড়লেও বাড়ির মেয়ে থাকতে পারলেন না মা নীতু, ভাই রণবীর ও কাপুর পরিবারের পাশে। বৃহস্পতিবার সকালের বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে কোনও রকমের জমায়েত নয়। নিয়ম মেনে, আইনকে সন্মান জানিয়ে ঋষি কাপুরকে হাসপাতাল থেকে সোজা দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হবে। উপস্থিত ছিলেন হাতে গোনা কয়েকজন। এদিন সকাল থেকেই ছটফট করছিলেন ঋদ্ধিমা। বাবাকে শেষ দেখা দেখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন।
সকাল থেকেই চলছিল ফোন। যদি প্রাইভেট প্লেনের অনুমতি করানো যায়, তবে দিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁচ্ছে সুবিধে হবে। রাস্তা ধরে আস্তে গেলে অনেক সময় লাগবে। ততক্ষণ বাবাকে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মেয়ের সঙ্গে দেখা হল না বাবার। মিলল না প্রাইভেট প্লেনের অনুমতি। অবশেষে রাস্তা ধরেই দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমা ও তাঁর মেয়ে সামারা। অবশেষে বাবার মৃত্যুর দুদিন পর বাড়ি ফিরতে পারলেন কাপুর পরিবারের মেয়ে। আলিয়ার সঙ্গে ছিল তাঁর প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ। বাবার শেষকৃত্যের ছবি পাঠানো থেকে শুরু করে তাঁর সঙ্গে কথা বলে সব খবর পৌঁচ্ছে দিয়েছিলেন আলিয়াই। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবার ছবি শেয়ার করে শোকজ্ঞাপনও করেছেন ঋদ্ধিমা।
করোনা মোকাবিলায় রক্ষা করুন নিজেকে, মেনে চলুন 'হু' এর পরামর্শ
সাবধান, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এই কাজ করলেই হতে পারে জেল
কী করে করোনার হাত থেকে রক্ষা করবেন আপনার বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের, রইল তারই টিপস