সারা বিশ্বে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এই লকডাউন চলাকালীন সকলেই ঘরবন্দি। দীর্ঘদিনের লকডাউনে প্রত্যেকেই নিজেদের মতোন করে সময় কাটাচ্ছেন। লকডাউনের মধ্যে বন্ধ হয়েছে ছবির শুটিং। যার প্রকোপ পড়েছে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। অভিনেতা- পরিচালক বাদ দিলে ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ মানুষই দিন আনে দিন খায়। মূলত তারাই সবথেকে বেশি সমস্যার মুখে পড়েছেন। বেকার হয়ে কষ্টেই দিনাতিপাত করতে হচ্ছে সকলকে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলা যায়। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুটিং শুরু করা যায় তারই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে সতর্কতা মেনে শুটিং শুরু করা হলেও করোনার প্রকোপ পড়েছে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে। অন্তরঙ্গতায় দৃশ্য নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে। এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিনোদন জগতে।
আরও পড়ুন-বয়ফ্রেন্ডের বাড়িতে আটকে এ কি হাল ঐন্দ্রিলার, এক জামা পরেই দিন কাটছে অভিনেত্রীর...
লকডাউন শেষ হওয়ার পর কীভাবে শুটিং করা হবে তা নিয়ে চিন্তিত সকলেই । করোনা যেভাবে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করেছে তাতে নাজেহাল অবস্থা প্রত্যেকেরই। সচেতনার কারণেই লকডাউন উঠে গেলে অল্প কয়েকজন মানুষ নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এত কম লোক নিয়ে কীভাবে কাজ হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ইতিমধ্যেই সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়েও সকলেই চিন্তিত।
আরও পড়ুন-করোনা আতঙ্কে ইদ পালন, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পরিবারসহ বলি অভিনেতা...
একটি সিনেমা তৈরির পিছনে বহু মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম থাকে। সম্প্রতি ১১ মে আলোচনা সভায় ভারত সহ ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও ২০ টি দেশ উপস্থিত ছিল। ভারত থেক এই সম্মেলনে অমিত বহেল উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই শুটিং সেট স্ট্রাকচার নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। ভারত থেকে যেমন বিদেশে শুটিং করতে যাওয়া হয় তেমনি বিদেশ থেকে এদেশে শুটিং করতে আসা হয়। তাই শুটিং শুরুর আগে এই বিষয়গুলির উপর নজর দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এই মহাসঙ্কটের মুখ আর পড়তে না হয় তাই সমস্ত দিক থেকে সচেতন থাকতে হবে। সেখানেই সিনেমার ঘনিষ্ঠতা নিয়েও নানা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সতর্কতা বজায় রেখেই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিং করতে হবে। যদিও সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা পেতেও বেশ খানিকটা সময় লাগবে।